বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইন্ধন জোগাতে একই দিনে জোড়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।
এক দিকে, পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরিতে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। দেশেই ১০টি পরমাণু চুল্লি তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে তারা। এক লপ্তে এই প্রথম এতগুলি চুল্লি তৈরির অনুমতি দিল কেন্দ্র। অন্য দিকে, সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার জোগান নিশ্চিত করতে নতুন নীতিতে বুধবার সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। এই ‘কোল লিঙ্কেজ’ নীতির আওতায় নিলামের মাধ্যমে বা বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তির ভিত্তিতে কয়লা সরবরাহ করা হবে সব সংস্থায়।
তাপবিদ্যুৎ শিল্পের অভিযোগ, জোগানের নীতিতে স্বচ্ছতার অভাবে এত দিন বহু সংস্থাকেই হাঁটতে হয়েছিল কয়লা আমদানির পথে। অথচ দেশে এর ভাঁড়ার যথেষ্ট। সরকারি বিবৃতিতে দাবি, নতুন নীতিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি তাপবিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে জ্বালানি হিসেবে কয়লা বণ্টন করা হবে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতে। বাদবাকি বেসরকারি সংস্থাকে তা জোগানো হবে নিলামের মাধ্যমে। সংস্থাগুলির বিদ্যুৎ বিক্রির বৈধ চুক্তির ভিত্তিতেই মিলবে কয়লা কেনার অনুমতি, যাতে যথেষ্ট পরিমাণে কয়লা পেতে তাদের হয়রানি বন্ধ করা যায়। নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ২০১৭-শক্তি (স্কিম ফর হারনেসিং অ্যান্ড অ্যালোকেটিং কয়লা ট্রান্সপেরেন্সি ইন ইন্ডিয়া)।
এ দিকে, দেশে যে ১০টি পরমাণু চুল্লি তৈরিতে কেন্দ্র সায় দিয়েছে, সেগুলির প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৭০০ মেগাওয়াটের মতো। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘‘মোট ৭ হাজার মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা তৈরি হবে, যা পরিবেশ দূষণও কমাবে।’’
উচ্চ চাপে ভারী জল-চালিত ওই ১০টি চুল্লি তৈরি হবে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এবং গোরক্ষপুরের বিভিন্ন জায়গায়। সরকারি বিবৃতিতে দাবি জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের মেক ইন্ডিয়া প্রকল্পেও উৎসাহ দেবে এই ধরনের প্রকল্প। মোট লগ্নি ছোঁবে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে চাকরি হওয়ার কথা ৩৩,৪০০ জনের। দূষণহীন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ তৈরিতে উৎসাহ জুগিয়ে দেশের শিল্পায়নকেও এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে দাবি বিদ্যুৎ মন্ত্রকের।
কর ফাঁকি এড়াতে বহুদেশীয় চুক্তিতে সায়। বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে লগ্নি কম করে দেখিয়ে এবং কারচুপি করে ভিন্ দেশে তা সরিয়ে নিয়ে কর ফাঁকি এড়াতে আগেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। এ বার সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি সই করার ব্যাপারে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। যে-সব দেশে কর নেই, বা তা নামমাত্র, সেখানে কৃত্রিম ভাবে প্রকল্প সরিয়ে ভারতে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ বেশ কিছু দিন ধরেই উঠছিল এক শ্রেণির সংস্থার বিরুদ্ধে। তা রুখতেই এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy