গত বছরে বিশ্বে ধনকুবেরদের (বিলিয়নেয়ার) মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৯%। মূলত চিনের হাত ধরেই তা ৮.৯ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানাল ইউবিএস এবং পিডব্লিউসির সমীক্ষা। ওই সময়ে চিনে প্রতি সপ্তাহে দু’জন করে নতুন ধনকুবের তৈরি হয়েছেন। যাঁদের সম্পদের অঙ্ক ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭,২৫০ কোটি টাকা) বা তার বেশি।
এমনিতে বরাবরই বিশ্বে ধনকুবের তৈরিতে এগিয়ে থাকে আমেরিকা। গত বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সব মিলিয়ে বিশ্বে যে ১৯৯ জন নতুন ধনকুবের হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চিনা ব্যক্তিদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। ২০১৭ সালে সেখানে চিনে ধনকুবেরের সংখ্যা ৩১৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৭৩। সব মিলিয়ে তাঁদের সম্পদ ১.১২ লক্ষ কোটি ডলার। আগের বছরের চেয়ে ৩৯% বেশি।
এঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই উদ্ভাবনের হাত ধরে সম্পত্তি বাড়িয়েছেন বলে জানিয়েছে সমীক্ষা। আর বাকিরা এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসা বাড়িয়ে।
সমীক্ষায় দাবি, নিত্যনতুন ভাবনা, প্রযুক্তি ব্যবহারের হাত ধরে চিন তথা দক্ষিণ এশিয়ায় জীবনযাত্রার মানের ছবিটাও বদলাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের ধনকুবেররা। এতটাই যে শুল্ক যুদ্ধ ও মেধাসত্ব নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চাপানউতরের মধ্যেই মার্কিন সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বেজিং। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সেখানে ৫০টি বড় (বাজারমূল্য ১০০ কোটি ডলার বা তার বেশি) সংস্থা তৈরি হয়েছে। আমেরিকায় ৬২টি।
জীবনযাত্রার মান বাড়ার হাত ধরে নতুন প্রজন্মের উদ্যোগপতিরা আরও বেশি করে উদ্ভাবনে এগিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছে সমীক্ষা। এমনিতেই সামগ্রিক ভাবে এশিয়ায় ধনকুবেরের সংখ্যা মার্কিন মুলুকের তুলনায় বেশি। আগামী তিন বছরে তাঁরা মার্কিন ধনকুবেরদের থেকে সম্পদের অঙ্কের নিরিখেও এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছে সমীক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy