৫,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আশা ছিল, এর ফলে চিনের সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উল্টো। পরিসংখ্যান বলছে, বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে অগস্টে চিনের রফতানি বৃদ্ধি কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে আমেরিকার কোনও লাভ হয়নি। বরং বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই পরিসংখ্যান বাণিজ্য যুদ্ধের আগুনে আরও হাওয়া দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুল্ক বসাতে ইতিমধ্যেই আরও ২০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যকে চিহ্নিত করেছে আমেরিকা। ট্রাম্প জানিয়েছেন, নতুন ভাবে আরও ২৬,৭০০ কোটি ডলারের পণ্যকে চিহ্নিত করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিন থেকে আমদানি করা প্রায় সব পণ্যই শুল্কের আওতায় চলে আসতে পারে। পাশাপাশি অ্যাপলকেও বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, চিন থেকে উৎপাদন সরিয়ে আমেরিকাতেই তা তৈরি করুক তারা। ট্রাম্পের টুইট, ‘‘চিনা পণ্যে শুল্কের ফলে অ্যাপলের পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে এর সমাধান রয়েছে। এই শুল্ক শূন্যেও নামতে পারে। চিনের বদলে আপনারা আমেরিকায় পণ্য তৈরি করুন।’’
ঘটনা হল, আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত জুলাইয়ে ছিল ২,৮০৯ কোটি ডলার। অগস্টে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,১০৫ কোটি। অথচ চিনা পণ্যের উপরে আমেরিকা আমদানি শুল্ক বসানোর পরে এটিই ছিল প্রথম পূর্ণ মাস। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, চিন থেকে আমদানি বৃদ্ধির হার সামান্য কমেছে ঠিকই। কিন্তু রফতানি বৃদ্ধির হার কমেছে আরও বেশি। ঘাটতি বেড়েছে আমেরিকার।
অনেকে আবার বলছেন, মার্কিন অর্থনীতির অবস্থা এখন ভাল। দেশের বাজারে চাহিদাও যথেষ্ট। আর তাই শুল্ক চাপানো সত্ত্বেও, চিনা পণ্যের চাহিদা ধাক্কা খায়নি। অন্য দিকে, বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে থাকলেও চিনের অর্থনীতি এখন কিছুটা ধোঁয়াশায়। চাহিদাতেও ভাটা। ফলে কয়েক মাসের মধ্যে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাঁদের মতে, শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব এখন কিছু সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ। সামগ্রিক অর্থনীতির উপরে পড়তে কিছুটা সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy