নোটবন্দির পরে নগদের চাহিদা সামাল দিতে টাঁকশালগুলিতে মুদ্রা তৈরি হয়েছিল বিপুল সংখ্যায়। মাঝে কিছু দিন আবার তা বন্ধ ছিল জোগান উপচে পড়ার কারণে। তার পরে ফের তা চালু হলেও চলছিল গতানুগতিক। কিন্তু এখন মূলত গ্রাম এবং ছোট শহরে খুচরোর চাহিদা সামাল দিতে রীতিমতো লক্ষ্য বেঁধে মুদ্রা তৈরির ফরমান এসেছে টাঁকশালগুলিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কলকাতার আলিপুর ও দেশের অন্য তিন টাঁকশালে আগামী ছ’মাসের জন্য মুদ্রা সংখ্যার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। কর্মীদের জন্য বাড়ছে কাজের সময়। কলকাতা টাঁকশালের কর্মী ইউনিয়নগুলির দাবি, দেশের বিভিন্ন ছোট শহর ও গ্রামে (বিশেষত দক্ষিণ ভারতে) খুচরোর আকাল দেখা দেওয়াতেই এই তোড়জোর। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টাঁকশালে মজুত খুচরো নিয়মিত তুলে নিচ্ছে বলেও তাদের দাবি।
সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রয়োজন জেনেই অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে। কর্মীদের জন্য বলা হয়েছে ওভারটাইম ও বাড়তি আর্থিক সুবিধার কথাও।
আইএনটিইউসি সমর্থিত ক্যালকাটা মিন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ শিকদার ও সহ-সভাপতি বিজন দে জানান, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) আলিপুর টাঁকশালে ৪০ কোটি মুদ্রা তৈরি হয়েছে। তার পুরোটাই শীর্ষ ব্যাঙ্ক হেফাজতে নিয়েছে। এখন নতুন করে তারা খুচরোর প্রয়োজনের কথা জানানোর পরেই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাঁধা হয়েছে। ওই ৪০ কোটি ধরে মোট ১২৬ কোটি মুদ্রা ছ’মাসে তৈরি করতে হবে বলে ইউনিয়ন নেতাদের দাবি।
মাঝে এক সময়ে জোগান উপচে পড়ায় বন্ধ ছিল মুদ্রা তৈরি। সেখানে এখন টাঁকশালে লক্ষ্য বেঁধে বাড়তি সময় কাজের তোড়জোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy