—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর মাপকাঠিতেও বৃদ্ধির হিসেবে এগিয়ে মনমোহন সিংহের জমানা। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই তোপ দাগা শুরু করেছিল কংগ্রেস। শনিবার সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াল তারা। উল্টো দিকে সরকার পক্ষের দাবি, ইউপিএ জমানায় বৃদ্ধিতে গতি এসেছিল যথেচ্ছ ব্যাঙ্ক ঋণ আর বেলাগাম রাজকোষ ঘাটতিতে ভর করে। ফলে বৃদ্ধি নিয়ে দিল্লি ফের সরগরম। জমে উঠেছে তরজা। ভোটের
মুখে এমন অস্ত্র হাতছাড়া করতে বিরোধীরা যেমন রাজি নন, তেমনই মনমোহন জমানাকে কৃতিত্বের এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ মোদী সরকারও।
ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউপিএ সরকারের দশ বছরে গড় বৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি। ২০০৬-০৭ সালে তা পেরোয় ১০ শতাংশের গণ্ডিও। সেখানে মোদী জমানায় বৃদ্ধি ৭.৩%। এ প্রসঙ্গে এ দিন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের মন্তব্য, ‘‘সত্যেরই জয় হল।’’ তাঁর যুক্তি, বাজপেয়ী সরকারের আমলে গড় বৃদ্ধি ছিল ৫.৬৮%। প্রথম ইউপিএ সরকারে ৮.৩৬%। দ্বিতীয়তে ৭.৬৮%। সেখানে মোদীর সময়ে তা ৭.৩৫ শতাংশে আটকে।
কিন্তু নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারের যুক্তি, একে এটি সরকারি পরিসংখ্যান নয়। তার উপর ইউপিএ আমলে বৃদ্ধি মাথা তুলেছিল বেলাগাম ঘাটতি ও যথেচ্ছ ব্যাঙ্ক ঋণে ভর করে। অথচ তার জেরেই তাদের শেষ তিন বছরে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে। যে সময়ের চেয়ে গত চার বছরে বৃদ্ধির গড় হার ভাল। তাঁর কথায়, ‘‘রাজীব গাঁধীর আমলেও ১৯৮৭-১৯৮৯ সালে ধার করে বৃদ্ধি চড়েছিল। তাতেই ১৯৯০ সালের সঙ্কট। বিদেশি দেনা শোধ করতে না পেরে দেশকে মজুত সোনা বন্ধক রাখতে হয়।’’
বিজেপি যে ভাবে নীতিপঙ্গুত্ব নিয়ে বিঁধত, সে কথা এখন তুলছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরজিৎ ভাল্লা অবশ্য বলেন, ‘‘এত দিন জিডিপি মাপার নতুন পদ্ধতিতে বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগ করতেন। এখন সব মাপ!’’
প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ ভিরমাণির মতে, ‘‘ঘাটতি, সুদ নীতিতেই ১০% বৃদ্ধির বুদবুদ তৈরি হয়েছিল। বাস্তবে ১৯৯১-২০০৩ পর্যন্ত সংস্কারেই বৃদ্ধি ৮-৮.৫% হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy