ঋণখেলাপিদের নাম-সহ নানা তথ্য প্রকাশ না করায় সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের প্রসঙ্গ টেনে এনে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করল কংগ্রেস। দাবি করল, পাঁচ বছরে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার দাবি, ধনী ঋণখেলাপিদের ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা ধার মকুব করেছে কেন্দ্র। কিন্তু দরিদ্র চাষিদের মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা শুক্রবার টুইটারে সংবাদ মাধ্যমের খবরকে উল্লেখ করে দাবি করেছেন, গত পাঁচ বছরে স্বেচ্ছা ঋণখেলাপির সংখ্যা ৫,০৯০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১,০০০। তবে আর্থিক হিসেবে এই সমস্ত ব্যক্তি ও সংস্থার মাধ্যমে ঋণখেলাপের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন গুণ। প্রায় ১,২১,৭০০ কোটি টাকা। মোদী সরকারকে ‘সুট-বুট অউর লুট কি সরকার’ সম্বোধন করে সুরজেওয়ালা লিখেছেন, ‘‘ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা গভীর সমস্যায়।’’
উল্লেখ্য, তথ্যের অধিকার আইনে করা প্রশ্নের উত্তরে ঋণখেলাপিদের নাম না জানানোয় সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে শীর্ষ আদালত বাধ্য। এর পরেই কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়ায় কংগ্রেস। দাবি তোলে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিক কেন্দ্র।
পাশাপাশি, গত অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধি ৭ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনার ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক দফতর যে রিপোর্ট দিয়েছে, সে ব্যাপারেও কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। তাদের নেতা আহমেদ পটেলের দাবি, অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্যের পরে অর্থনীতির ধাক্কা খাওয়া নিয়ে আর কোনও বিতর্ক থাকতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy