—ফাইল চিত্র।
অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে ফিরেছেন তিন দিন আগে। আর রবিবারই ফের মোদী সরকারের জমানায় অর্থনীতি ভাল এগোচ্ছে বলে দাবি করলেন অরুণ জেটলি। এ দিন ফেসবুক পোস্ট ও একের পর এক টুইটে তিনি তুলে আনেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) দু’টি রিপোর্টের কথা। যেখানে ২০১৪ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ও ২০১৮ সালে (জুলাই-অগস্ট) ভারতের আর্থিক অবস্থা নিয়ে মত জানিয়েছিল তারা। জেটলির টুইটের পরে অবশ্য তোপ দেগেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, ভাল অর্থনীতি হাতে পেলেও, নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বৃদ্ধির হার কমেছে।
এ দিন জেটলির দাবি, ২০১৪ সালের রিপোর্টে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধি দুই অঙ্কের কাছাকাছি থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয় আইএমএফ। বলেছিল, চলতি খাতে চড়া ঘাটতি, বিদ্যুৎ ক্ষেত্র ঢিমেতালে এগোনো, বেহাল পরিকাঠামোর কথা।
এমনকি মনমোহন জমানায় যেখানে রাজকোষ ঘাটতি বেঁধে রাখা, কর এবং ভর্তুকির নিয়মে সংস্কারের কথা বলেছিল আইএমএফ, সেখানেই বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক মাসে অর্থনীতি নিয়ে তারা ভাল পূর্বাভাস দিয়েছে বলে জেটলির দাবি। তাঁর মতে, গত চার বছরে ক্রমাগত সংস্কারের জেরে ভারতের অর্থনীতির অবস্থা এখন চোখে পড়ার মতো।
জেটলির এই মন্তব্যের পরেই এ দিন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূর্যেওয়ালার পাল্টা, স্বাধীনতার পর থেকে ইউপিএ-১ এবং ইউপিএ-২ সরকারের আমলে দেশে বৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে বেশি। অথচ মোদী জমানায় ২০১৭-১৮ সালে তা কমে হয়েছে ৬.৭%। এমনকি আইএমএফ নিজেই জুলাইয়ে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। নতুন নিয়মে কষা মনমোহন জমানার বৃদ্ধির অঙ্ক মোদী সরকার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অর্থনীতির হাল যে খারাপ সেটা স্পষ্ট বলেও সূর্যেওয়ালার দাবি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, চার বছরে নোট বাতিল, তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর মতো একের পর এক ‘খারাপ’ সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে জিডিপিতে। চাকরি নেই। লগ্নি তলানিতে। কোনও লেখাই সেই সত্যি বদলাতে পারবে না। যদিও সরকারের দাবি, মনমোহন জমানায় বৃদ্ধি হয়েছিল আর্থিক শৃঙ্খলাকে জলাঞ্জলি দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy