প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে আর্থিক কর্মকাণ্ড ফের বিপর্যস্ত। শিল্পমহলের দাবি, করোনার প্রথম অভিঘাত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ব্যবসা আবার তলানিতে নেমেছে। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা গতবারের থেকেও যেন বেশি পিচ্ছিল। এই অবস্থায় অতিমারিকে রুখতে যে প্রতিষেধক ভরসা, দেশে তার ঘাটতি উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার বণিকসভা ফিকি থেকে শুরু করে খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আরএআই), টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সংগঠন ন্যাসকম, সকলেই এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে দ্রুত প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
প্রতিষেধকের চাহিদা ও জোগানের ফারাক নিয়ে অসন্তোষ স্পষ্ট ফিকির বার্তায়। তাদের দাবি, এতে মানুষের জীবন ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আর এমন ঝুঁকি নিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আয়ের পথে টিকে থাকা এবং অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোও যে কঠিন, তা মানছে শিল্পমহল। ফিকি কর্তারা বলছেন, প্রতিষেধকের ঘাটতি না-মেটালে টিকাকরণে গতি আনা যাবে না। আর গতি না-এলে সংশ্লিষ্ট সকলকে সুরক্ষা দেওয়াও অসম্ভব। খুচরো, টেলিকম সংস্থাগুলির মতে, টিকার সুরক্ষা তাদের মতো অত্যাবশ্যক ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের সব থেকে জরুরি। না-হলে সংক্রমণের ঝুঁকির মুখে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়বে বহু আর্থিক কাজ-কারবার।
প্রতিষেধকের জোগান বাড়াতে পথ বাতলানোর পাশাপাশি অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও বেশি করে কাজে লাগানোর কথা বলেছে ন্যাসকম। আরএআইয়ের আর্জি, বিপুল কর্মসংস্থানের সূত্র খুচরো ব্যবসাকে বাঁচাতে দ্রুত আর্থিক ত্রাণেরও ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে তারও আগে এই সব সংস্থার কর্মীদের জন্য প্রতিষেধকের।
বিভিন্ন রাজ্য সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ডেকেছে। যা খুচরো ব্যবসাগুলিকে চরম সঙ্কটের মুখে ঠেলেছে, আক্ষেপ আরএআইয়ের। তাদের বার্তা, এই ক্ষেত্রে যুক্ত প্রায় ৪.৬ কোটি মানুষ। বড় অংশ ব্যবসার শেষ স্তরে ক্রেতার মুখোমুখি হয়ে কাজ করেন। সংগঠনের সিইও কুমার রাজাগোপালনের মতে, বহু খুচরো ব্যবসার ভেঙে পড়া রুখতে আর্থিক সাহায্য ও অন্তত ওই শেষ স্তরের কর্মীদের টিকাকরণ জরুরি।
করোনায় যোগাযোগের অন্যতম ভরসা টেলি-পরিষেবা। সিওএআইয়ের দাবি, নিরবচ্ছিন্ন এবং সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে টেলি সংস্থাগুলির বহু কর্মী ঝুঁকি নিয়ে বাইরে বেরোতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে দ্রুত প্রতিষেধক দেওয়া দরকার তাঁদের। সেই ব্যবস্থার আর্জি জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন সংগঠনের ডিজি এস পি কোছর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy