কয়েক মাস আগে আচমকাই ছড়িয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নগদের অভাব দেখা দেওয়ার খবর। এ বার তার সম্পূর্ণ উল্টো ছবি তুলে ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব জানাল, এই মুহূর্তে ভারতে মানুষের হাতে থাকা নগদ নজিরবিহীন ভাবে ১৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা (২৫ মে পর্যন্ত) পেরিয়ে গিয়েছে। যেখানে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে কেন্দ্র ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পরে তার পরিমাণ তলিয়ে গিয়েছিল প্রায় ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সেই সময়ের তুলনায় দেশবাসীর হাতে নগদ এখন দ্বিগুণেরও বেশি।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে অর্থনীতিতে মোট নগদ ঘুরছে প্রায় ১৯.৩ লক্ষ কোটি টাকার (১ জুন পর্যন্ত)। নোটবন্দির পরে যা ছিল ৮.৯ লক্ষ কোটি। যার মানে, দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে এই পরিমাণও। বস্তুত, বাজারে নগদের মোট এই জোগান থেকে ব্যাঙ্কে থাকা অংশ বাদ দিয়েই আমজনতার হাতে কতখানি ঘুরছে তার হিসেব কষা হয়।
খুঁটিনাটি
• মানুষের হাতে থাকা নগদের পরিমাণ পেরিয়েছে ১৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা রেকর্ড
• ২০১৬ সালের শেষে নোট বাতিলের পরে তা নেমেছিল প্রায় ৭.৮ লক্ষ কোটিতে
• বাজারে মোট নগদের জোগান ১৯.৩ লক্ষ কোটিরও বেশি
• যা নোটবন্দির পরে নেমেছিল প্রায় ৮.৯ লক্ষ কোটিতে
*বাজারে মোট যত নগদ ঘুরছে, তার থেকে ব্যাঙ্কে থাকা অংশ বাদ দিয়ে যা থাকে, সেটাই হল মানুষের হাতে থাকা নগদের অঙ্ক
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ কিছু দিন আগে দেশের নানা প্রান্ত থেকে নগদের অভাবের খবর আসায় দানা বেঁধেছিল নোট মজুত করা নিয়ে আশঙ্কা। যার হাত ধরে দৃঢ় হয়েছিল কৃত্রিম ভাবে নগদের অভাব তৈরি করা নিয়ে সন্দেহও।
তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে, শুধু নোটবন্দির পরবর্তী সময়ের তুলনায় নয়, তার আগে অর্থনীতিতে ও মানুষের হাতে যে নগদ ছিল, তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই হিসেব। এই পরেই অনেকের প্রশ্ন, তা হলে নোট ফিরতেই কি ফিকে ডিজিটালের রমরমার দাবি? তবে আর নোট বাতিলের কৃচ্ছ্রসাধনে লাভ কী হল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy