ডিজেলের দাম লিটারে ৭০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজই একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে পেট্রল। এই পরিস্থিতিতে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের অন্যতম সদস্য সৌদি আরবের কাছে পণ্যটির দরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আর্জি জানালেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তেলের চড়া দর আমদানি খরচ ৫,০০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বাড়াতে পারে বলে শুক্রবার স্বীকার করলেন আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ-ও। তবে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে পেট্রল, ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক কমানো হবে কি না, এ দিন তার স্পষ্ট উত্তর দিতে চাননি তিনি।
কর্নাটক ভোটের আগে কিছু দিন তেলের দর এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার পরে, গত কয়েকদিন ধরে তা লাফিয়ে বাড়ছে। যা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। অসন্তোষ বাড়ছে মানুষের মধ্যেও। এই অবস্থায় সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী খলিদ আল-ফলিহ্র সঙ্গে আলোচনায় তাঁকে দামে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আর্জি জানান প্রধান। চড়া দাম যে মানুষের বোঝা বাড়াবে ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে, তা-ও জানিয়েছেন তেলমন্ত্রী। সৌদি আরবের আশ্বাস, বিশ্ব জুড়ে তেল সরবরাহে যাতে ঘাটতি দেখা না দেয়, সে জন্য সব রকম চেষ্টা করবে তারা।
এ দিন গর্গ বলেন, তেলের দাম বাড়ায় আমদানি খরচ বাড়তে পারে ৫,০০০ কোটি ডলার পর্যন্ত। যার জের পড়তে পারে চলতি খাতে লেনদেন ঘাটতিতে। তবে তাঁর দাবি, মূল্যবৃদ্ধি এখন নিয়ন্ত্রণে। অন্যান্য মাপকাঠিতেও ভাল জায়গায় দাঁড়িয়ে অর্থনীতি। ফলে রাজকোষ ঘাটতি বা বৃদ্ধির হার এখনই চিন্তার বিষয় নয়। কেন্দ্র আশ্বাস দিলেও বিশেষজ্ঞ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকসের মতে, আগামী কয়েক মাসে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আরও চড়বে। সে ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে চলতি খাতে ঘাটতি ছুঁতে পারে জিডিপি-র ২.৪%। যা কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। যদিও গর্গের দাবি, পরিস্থিতি ২০১৩ সালের তুলনায় যথেষ্ট ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy