দেশে তৈরি চটের বস্তা রাজ্যগুলিকে খাদ্যশস্য ভরার জন্য ব্যবহার করতে হবে। শুধু তাই নয়, সেই বস্তা তৈরি হতে হবে দেশে উৎপাদিত পাট থেকেই। সূত্রের খবর, বস্ত্র মন্ত্রকের নির্দেশ মতো রাজ্যের জুট কমিশনারের দফতর এই ফরমান জারি করেছে।
এ বছর চাল, গম প্রভৃতি খাদ্যশস্য কিনে ভরার জন্য ১০০% ও চিনির ক্ষেত্রে ২০% চটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। বস্তা কেনার খাতে তারা খরচ করবে অন্তত ৬,৫০০ কোটি টাকা। সেই টাকা যাতে দেশের পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত চাষি, চটকল, শ্রমিকদের মধ্যেই লেনদেন হয়, তার জন্য কড়া নজরদারি চালাতে চাইছে বস্ত্র মন্ত্রক। কারণ অতীতে পুরনো, হাতফেরতা চটের বস্তা অন্য দেশ থেকে এনে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ বার তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে চায় তারা।
সূত্রের খবর, তাই নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আমদানি করা বস্তা তো কেনা যাবেই না। অন্য দেশ থেকে পাটজাত কাপড় কিনে নিয়ে এসে এ দেশের চটকলে তৈরি বস্তাও চলবে না। এমনকি নিষেধাজ্ঞা থাকছে অন্য দেশের উৎপাদিত পাট কিনে দেশে তৈরি চটের বস্তাতে।
বস্ত্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যের যে সব সরকারি সংস্থা বা নিগম খাদ্যশস্য কেনা ও ভরার দায়িত্বে রয়েছে, বাজার থেকে বস্তা কেনার ক্ষেত্রে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কারণ অনেকেই দরপত্র মারফত তা কেনে বা অন্যকে কেনার দায়িত্ব দেয়। আর তখনই এ ধরনের অভিযোগগুলি ওঠে। সূত্রের খবর, এ বার তেমন অভিযোগ উঠলে বস্তা সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্র কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি, অনেক সময়ই বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান থেকে সস্তার হাতফেরতা বস্তা আনার অভিযোগ ওঠে। তাতে যেমন শস্য নষ্ট হয়, তেমনই আবার পুরনো বস্তা দিয়ে নতুন বস্তার দাম নেওয়ার মতো দুর্নীতিও ঘটে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্র বস্তা কেনার জন্য প্রাপ্য অর্থ অনেক রাজ্যকে দেয়নি। বস্ত্র মন্ত্রকের কর্তারা এ বার বলছেন, খাদ্যশস্য ভরার ক্ষেত্রে ১৯৮৭ সালের চটের বস্তা ব্যবহারের যে বাধ্যতামূলক কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে, তাতে কোনও গাফিলতি বা বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy