এত দিন চাষিরা শুধু ভেবে এসেছেন উৎপাদন কী করে বাড়ানো যায়। এ বার তাদের জোর দিতে বলা হবে মুনাফা বাড়ানোর উপরেও। ২০২২ সালের মধ্যে দেশে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রক কমিটির রিপোর্ট মূলত নজর দিচ্ছে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই বদল আনার প্রয়োজনীয়তাতেই। যাতে কৃষিকাজে জড়িত মানুষদের উদ্যোগপতির তকমা দেওয়া যায়।
মে মাসের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারে কমিটি। তার চেয়ারম্যান অশোক দালওয়াই বলেন, ‘‘কৃষিকাজে জড়িতদের দৃষ্টিভঙ্গি উৎপাদন থেকে আয় বাড়ানোয় সরিয়ে আনাকে পাখির চোখ করেছি। তা হলেই তাঁদের উদ্যোগপতির হিসেবে তৈরি করা যাবে। এর মানে, ওই ব্যক্তি চাষবাস, পশুপালন, মাছ চাষ ইত্যাদি যা-ই করুন না কেন, মূল লক্ষ্য হবে মুনাফা পকেটে পোরা।’’
এই মুহূর্তে কৃষি নিয়ে বিপাকে মোদী সরকার। ঋণ মকুব, ফসলের ন্যায্য দাম-সহ নানা দাবিতে বারবার চাষিদের আন্দোলনের মুখে পড়েছে তারা। অবস্থা বেগতিক বুঝে বাজেটে গ্রাম-গরিব-চাষির জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। চাষির জন্য ফসলের খরচের দেড় গুণ দামের ঘোষণা করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে চার বছরের মধ্যে কৃষকদের আয় বাড়ানোর পথ খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয় ওই কমিটিকে। দালওয়াই জানান, রিপোর্টে তাঁরা নজর দিয়েছেন মূলত তিনটি বিষয়ে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, চাষের খরচ কমানো ও কৃষিপণ্য বিপণনকে দক্ষ করা। যাতে কৃষকরা ফসলের ভাল দাম পান। তাঁর দাবি, এ সবের সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি না হওয়ার ঝুঁকি সামলানোর পন্থা, সীমিত জল, জমির সমস্যা জুঝে ধারাবাহিক উন্নতি জারি রাখতে প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও একাধিক আয়ের উৎস খোলা ইত্যাদিও। তাঁদের সুপারিশের কিছু বিষয় ইতিমধ্যেই কর্যকর হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy