রাজ্যে কয়লা খনি থেকে মিথেন গ্যাস বা কোল বেড মিথেন (সিবিএম) উৎপাদনে আরও ৯০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে এসার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন। সোমবার এ কথা জানান সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিলাস তাওতে।
রাজ্যে রানিগঞ্জ এলাকায় সিবিএম গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই তারা ৪০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। ওই টাকায় ৩৫০টি গ্যাস উত্তোলনের কুয়ো তাঁরা তৈরি করেছেন, জানান তাওতে। আরও ১৫০টি কুয়ো খোঁড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সে জন্যই ৯০০ কোটি টাকা খরচ হবে, জানান তিনি।
এ দিকে আগে কয়লা পরিবহণের ক্ষেত্রে যেমন করা হয়েছিল তেমনই এ বার গ্যাসের ক্ষেত্রেও মাসুল সমীকরণ নীতি কেন্দ্র চালু করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তাওতে। তিনি বলেন, ‘‘দুটি পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্র ভাবনা চিন্তা করছে। প্রথমত, দূরত্ব যাই হোক না কেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস পরিবহণে ১ ডলার দাম ধরা। দ্বিতীয়ত, গ্যাসকে জিএসটির আওতায় আনা।
রানিগঞ্জ থেকে উৎপাদিত মিথেনের পুরোটাই গেলকে বিক্রি করার ব্যাপারে এসার ও গেল এ মাসেই চুক্তি করবে। তাওতে বলেন, ‘‘গেলকে গ্যাস বিক্রির জন্য চুক্তির সময়ে যে দাম ধার্য করা হবে, তা আগামী ১৫ বছর অপরিবর্তিত থাকবে। সুবিধা হল, যতটা গ্যাস উৎপাদন করব, তার পুরোটাই গেল কিনবে। তাই বাজার খোঁজার ঝক্কি নিতে হবে না।’’
রানিগঞ্জে সিবিএম উৎপাদনে রিলায়্যান্স-সহ আরও দুটি সংস্থাও লগ্নির পরিকল্পনা করেছে। গ্যাস উৎপাদন, তা বণ্টন ইত্যাদি নিয়ে রানিগঞ্জে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার লগ্নির সম্ভাবনা বলে মন্তব্য করেন তাওতে। উত্তর প্রদেশের ফুলপুর থেকে রাজ্যে দুর্গাপুর পর্যন্ত গ্যাস পাই লাইন বসানোর ব্যাপারে কেন্দ্রের পরিকল্পনা ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে রূপায়িত হবে বলে আশা তাঁর।
বিভিন্ন রাজ্যে ২০টি জেলাতেও গ্যাস পাইপালাইন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। এর মধ্যে রাজ্যে যে পাঁচটি জেলা রয়েছে, সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy