নীরব মোদী
নীরব মোদী কাণ্ডে গোটা আর্থিক জালিয়াতির বিষয়টাই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) প্রাক্তন এমডি-সিইও উষা অনন্তসুব্রহ্মণ্যন ও ওই ব্যাঙ্কের কয়েক জন পদস্থ আধিকারিক জানতেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে এ কথা জানিয়ে তদন্তকারী সংস্থাটি বলেছে, তাঁরা ভুল তথ্য দিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিভ্রান্ত করেছিলেন।
নীরব, তাঁর ভাই নিশল ও নীরব মোদী গোষ্ঠীর জনৈক আধিকারিক সুভাষ পরবের বিরুদ্ধে আজ নতুন করে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সংক্রান্ত তদন্তে নীরবের আরও ১৭১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
১২,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে পিএনবিকে একাধিক চিঠি পাঠায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) ও লেটার অব ক্রেডিট (এলওসি) কোন পদ্ধতিতে দেওয়া হয় সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের দাবি, বিষয়টি ছিল অনন্তসুব্রহ্মণ্যন, ব্যাঙ্কের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর কে ভি ব্রহ্মাজি রাও, সঞ্জীব শারণ ও নেহাল আহাদের এক্তিয়ারভুক্ত। সত্য গোপন করে সেই সময় শীর্ষ ব্যাঙ্ককে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিলেন আহাদ ও ব্যাঙ্কের আন্তর্জাতিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার। শারণ নিজে সেই জবাব অনুমোদন করেছিলেন। নীরব মোদীর সংস্থার আধিকারিক বিপুল অম্বানী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অনন্তসুব্রহ্মণ্যনের সঙ্গে।
সিবিআই এটাও জানিয়েছে যে, ২০১৬ সালে নাকি একই ধরনের আর্থিক অনিয়ম রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরে এসেছিল। একাধিক ব্যাঙ্ককে বিজ্ঞপ্তিও পাঠায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তখনও নীরব ছিলেন ওই আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy