প্রতীকী ছবি।
দু’জনের প্রথম দেখা ২০০৫ সালে, আইআইটি দিল্লিতে। বন্ধুত্ব আরও পরে মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনে এক সঙ্গে কাজের সূত্রে। সচিন বনসল ও বিন্নি বনসল। অ্যামাজনে থাকতে থাকতেই ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত। ২০০৭ সালে চার লক্ষ টাকা পুঁজি করে শুরু সেই যাত্রা। কোরামঙ্গলে দু’কামরার ফ্ল্যাট থেকে। তৈরি হল ফ্লিপকার্ট।
শুরু হয়েছিল বই বিক্রি দিয়ে। প্রথম বিক্রি হয়, জন উডসের ‘লিভিং মাইক্রোসফট টু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’। আর ২০০৭ সালে মোট বিক্রি ২০টি।
তখনও মানুষের হাতে হাতে ঘুরত না স্মার্ট ফোন। ভারতে নেটের গতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন কেউ। তার ব্যবহারও তেমন ছড়ায়নি। এই অবস্থায় ই-কমার্স ব্যবসাকে পাত্তা দিতে চাননি অনেকে। বরং ইট-কাঠ-পাথরের বিপণিগুলির মত ছিল, ভারতীয়রা হাতে ছুঁয়ে, নেড়েচেড়ে দেখে জিনিস কিনতেই পছন্দ করেন।
কিন্তু দমে না গিয়ে ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছেন সচিন ও বিন্নি। শুরুতে নিজেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে পৌঁছে দিতেন বই। প্রথম কর্মী নিয়োগ ২০০৯ সালে।
সে বছরই এল লগ্নিকারী সংস্থা অ্যাক্সেল পার্টনার্স। ঢালল ১০ লক্ষ ডলার। সেই শুরু। এর পরে একে একে সংস্থাটিতে লগ্নি করেছে মাইক্রোসফট, সফটব্যাঙ্ক ইত্যাদি। বইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে অন্যান্য পণ্য বিক্রিতে পা রেখেছে ফ্লিপকার্টও। অধিগ্রহণ করেছে প্রতিযোগী জাবং, মিন্ত্রাকে। যার হাত ধরে আজ তারা দেশের অন্যতম বড় ই-কমার্স সংস্থা।
বুধবার সেই যাত্রাই নতুন মোড় নিল। দু’কামরা থেকে যার পথ চলা শুরু হয়েছিল, ওয়ালমার্টের লগ্নির হাত ধরে সেই ফ্লিপকার্টের মূল্যায়ন দাঁড়াল প্রায় ২,০৮০ কোটি ডলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy