দাম বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের। আর, তার জেরেই ফণা তুলছে পাইকারি বাজার দর। ডিসেম্বরে তা ছুঁয়েছে ৩.৩৯%। শাক-সব্জির দাম পরপর চার মাস কমা সত্ত্বেও জ্বালানির চড়া দামই বছর শেষে ইন্ধন জুগিয়েছে মূল্যবৃদ্ধিতে। পাশাপাশি কল-কারখানায় তৈরি পণ্যের দরও বেড়েছে ৩.৬৭%, নভেম্বরে যা ছিল ৩.২০%। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমহলের আশঙ্কা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ৮ ফেব্রুয়ারির ঋণনীতিতে সুদ না-ও কমাতে পারে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে নভেম্বরের ৩.১৫% থেকে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৩.৩৯%। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পাইকারি দর সরাসরি কমেছিল ১.০৬%। বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ, শাক-সব্জির দাম কমার প্রভাব ধুয়ে-মুছে গিয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে। শাক-সব্জির দাম ডিসেম্বরে কমেছে ৩৩.১১%। তার মধ্যে পেঁয়াজের দামই কমেছে ৩৭.২০%। কিন্তু, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ২০.২৫%, পেট্রোল ৮.৫২%। সার্বিক ভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সূচক ডিসেম্বরে উঠেছে ৮.৬৫%।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ফের ঊর্ধ্বমুখী। গত ১ মাস ধরে বাড়ছে টাকার তুলনায় ডলারের দামও। সেই কারণেই এক দিকে দেশে তেলের দাম বাড়ছে। অন্য দিকে শিল্পের উৎপাদন খরচও ঊর্ধ্বমুখী বলেই মনে করছে শিল্পমহল। তাদের আরও আশঙ্কা, সব্জির দাম এর পর বাড়ার মুখ নিলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি আরও চড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy