Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ধাপ কমিয়েই ভাবনা সরল জিএসটি-র

আগামী দিনে ১২ এবং ১৮ শতাংশের বন্ধনীতে থাকা পণ্য ও পরিষেবাগুলিকে নিয়ে আসা হতে পারে ওই দুয়ের মাঝামাঝি একটিই হারে। সম্ভবত ১৪% বা ১৫%।

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫৩
Share: Save:

পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) সরল করতে আগামী দিনে ওই করের হারের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে বলে জানালেন জিএসটি কার্যকর করার কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। ইঙ্গিত দিলেন, আগামী দিনে ১২ এবং ১৮ শতাংশের বন্ধনীতে থাকা পণ্য ও পরিষেবাগুলিকে নিয়ে আসা হতে পারে ওই দুয়ের মাঝামাঝি একটিই হারে। সম্ভবত ১৪% বা ১৫%।

বৃহস্পতিবার শহরে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘এখন করের হারের ধাপ মূলত ৫টি। তা ৪টি করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য ১২ ও ১৮ শতাংশের ধাপ দু’টি তুলে দিয়ে ১৪ বা ১৫ শতাংশের একটিকে নতুন ধাপ করা হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, কমানো হবে ২৮% করের আওতায় থাকা পণ্যের সংখ্যা। মোদীর কথায়, ‘‘এখন ২৮% করের আওতায় ৩৫টি পণ্য রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, শুধু সিগারেট, তামাকের মতো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর পণ্য এবং বিলাসবহুল পণ্যকে ওই তলিকায় রাখা।’’ ধীরে ধীরে ওই করের কুঠুরি খালি করার কথা সম্প্রতি বলেছিলেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার পদ থেকে সবে বিদায় নেওয়া অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনও।

যেখানে করের হার এতগুলি, তা আর যা-ই হোক জিএসটি নয়। এই যুক্তিতে কেন্দ্রকে বহু বার বিঁধেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। পাল্টা হিসেবে সরকার প্রশ্ন তুলেছে, ভারতের মতো দেশে জিএসটির একটিই হার হওয়া সম্ভব কি? গরিবের কাপড় আর বিলাসবহুল গাড়ির করের হার কি একই হওয়া সম্ভব? বিরোধী আক্রমণ ভোঁতা করতে কেন্দ্র মুখে এ কথা বললেও, আসলে জিএসটিকে সরল করতে যে করের ধাপ কমানো দরকার, সে কথা এ দিন মোদীর কথায় স্পষ্ট বলে মনে করছেন অনেকে।

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পেট্রল, ডিজেল, স্ট্যাম্প ডিউটি ইত্যাদি জিএসটির আওতায় না আসা পর্যন্ত নতুন এই কর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হবে না। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখনই ওই সব পণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার সম্ভাবনা নেই। সময় লাগবে। কর আদায় (মাসে নিয়মিত) এক লক্ষ কোটি টাকা না ছাড়ানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’’

মোদীর দাবি, জিএসটি চালুর পরে রাজ্যগুলির কর আদায়ে ঘাটতি যতটা হবে বলে আশঙ্কা ছিল, তার থেকে অনেক কম হয়েছে। ঘাটতির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ নীচের দিকে। জিএসটি নিয়ে প্রশংসা করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তেরও। ই-ওয়ে বিল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রতি ট্রাকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ লাগানোর পাশাপাশি তাদের জিপিআরএসে সংযুক্ত করা হবে। যাতে ই-ওয়ে বিল ছাড়া পণ্য পরিবহণ করা ট্রাককে দ্রুত চিহ্নিত করা যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tax GST Sushil Kumar modi ICAI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE