Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Business News

বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেছেন? এখনই টাকা তুলে নিন

৬ জুলাই শুক্রবার থেকে ভারতীয় মুদ্রায় বিটকয়েন কেনাবেচা বন্ধ হয়ে গেল। ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যে ক্রিপ্টো-ওয়ালেট থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফিরিয়ে না নিলে আর সেই টাকা ফেরত পাওয়ার আশা কার্যত নেই।

নিষিদ্ধ হয়ে গেল বিটকয়েন।

নিষিদ্ধ হয়ে গেল বিটকয়েন।

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ১৯:১৫
Share: Save:

ভারতে আপাতত বন্ধ হয়ে গেল বিটকয়েন-সহ সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির কেনা-বেচা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। ফলে ৬ জুলাই শুক্রবার থেকে ভারতীয় মুদ্রায় বিটকয়েন কেনাবেচা বন্ধ হয়ে গেল। ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যে ক্রিপ্টো-ওয়ালেট থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফিরিয়ে না নিলে আর সেই টাকা ফেরত পাওয়ার আশা কার্যত নেই।

গত ৬ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির উপর একটি নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয়, তিন মাস পর ব্যাঙ্কগুলি আর কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে টাকা পাঠাতে বা ওয়ালেটগুলি থেকে টাকা ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করতে পারবে না। ক্রিপ্টো-ওয়ালেটগুলির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়। বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ না করে ঘুরিয়ে সেই নির্দেশিকা জারি করে আরবিআই।

এই ঘটনাকে ডিজিটাল নোটবন্দি বলে ব্যাখ্যা করেন অর্থনীতিবিদ ও ক্রিপ্টো বিশেষজ্ঞরা। কারণ নোট বাতিলের সময়ও পুরনো নোট বদলের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই নির্দেশিকার সময়সীমা শেষ ৫ জুন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর আর কোনও টাকা ক্রিপ্টো ওয়ালেট থেকে ব্যাঙ্কে ফেরানো যাবে না।

আরও পড়ুন: জিও’র ধামাকা! ব্রডব্যান্ডেও নতুন পরিষেবা গিগা ফাইবার

আরবিআই-এর নির্দেশিকার পরই ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। তাঁদের দাবি ছিল, ওই নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। সব মামলা একত্রিত করে ২০ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু মামলাকারীদের পক্ষে আরবিআই-এর নির্দেশিকার মেয়াদ শেষের আগেই শুনানির আর্জি জানানো হয়। সেই আর্জি মেনে ৩ জুলাই শুনানিতে রাজি হয় সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির পর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। ফলে আরবিআই-এর নির্দেশিকাই বহাল রয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের ‘অচ্ছে দিন’ দূরে, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

জেব পে, ইউনোকয়েন, ওয়াজিরেক্স-এর মতো সংস্থা ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকার সময়সীমা এগিয়ে আসার কয়েকদিন আগে থেকেই বিনিয়োগকারীদের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য তারা নির্দেশিকা পাঠাচ্ছিল। তারপর থেকেই বিনিয়োগকারীরা দ্রুত ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি বিক্রি করতে শুরু করেন। আর সেই ধাক্কায় বিটকয়েন-সহ প্রায় সব ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম এক ধাক্কায় অর্ধেকের কাছাকাছি নেমে গিয়েছে।

কিন্তু বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন, আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা রইল কি?

ক্রিপ্টো বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আপাতত সম্ভাবনা নেই। এবং ২০ জুলাইয়ের শুনানিতে বা মামলার শুনানি পর্ব শেষে চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নতুন কোনও নির্দেশ না দিলে বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজে থেকে নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করলে সেই সম্ভাবনার দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও ক্রিপ্টো সংস্থাগুলি আশ্বাস দিচ্ছে, তারা বিকল্প কোনও রাস্তা ঠিক বের করে ফেলবেন। তাছাড়া ভারতীয় মুদ্রায় কেনা বেচা নিষিদ্ধ হয়েছে। ফলে পে-প্যালের মতো সংস্থায় অ্যাকাউন্ট খুলে ডলারে ক্রয়-বিক্রয় করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ট্রানজাকশন ফি বেশি লাগতে পারে। সেই ঝুঁকি বিনিয়োগকারীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bitcoin Cryptocurrency Reserve Bank of India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE