নরেন্দ্র মোদী।
আর্থিক বৃদ্ধিকে ১০ শতাংশের কক্ষপথে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য বলে গতকাল জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চব্বিশ ঘণ্টা না পেরোতেই ওই একই বিষয়ে মুখ খুললেন তাঁর দুই বিশ্বস্ত সেনাপতি। অরুণ জেটলি জানালেন, শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ৭.৭% ছুঁয়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকবে। এক ধাপ এগিয়ে এই মুহূর্তে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা পীযূষ গয়ালের বক্তব্য, চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ১০% বৃদ্ধি চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন তিনি। যা শুনে বিরোধীরা বলছেন, ৮% বৃদ্ধির হারই তো ছোঁয়া গেল না এখনও।
অনেকে আবার বলছেন, গত লোকসভা ভোটের প্রচারেও ১০% বৃদ্ধির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মোদী। দাবি করতেন, তা ছোঁয়া যাচ্ছে না স্রেফ ইউপিএ সরকারের নীতিপঙ্গুত্বের কারণে। কিন্তু বাস্তব বলছে, বৃদ্ধি হিসেবের পদ্ধতি ও ভিত্তিবর্ষ বদলেও চার বছরে সেই অঙ্কের ধারেপাশে পৌঁছনো যায়নি। বরং নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জেরে সেই হার এক ধাক্কায় ১.৫ শতাংশ বিন্দু নেমে গিয়েছিল। ঠিক যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। হালে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তা ৭.৭ শতাংশে পৌঁছলেও, সারা অর্থবর্ষে বৃদ্ধি ৬.৭%।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিতেই চড়া শুল্ক তেলে! দাবি জেটলির
এই অবস্থায় গয়াল আজ বলেন, ‘‘চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যেই দেশ দুই অঙ্কের বৃদ্ধিতে পৌঁছেছে।’’ জেটলিরও দাবি, আগামী দিনে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ হিসেবে ভারত নিজের অবস্থান পোক্ত করবে। তাঁর দাবি, লগ্নি বেড়েছে। ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে।
বিরোধীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন যে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ও কাজের সুযোগ তৈরিতে তাঁর সরকার ডাহা ফেল। তাই ভোট দরজায় কড়া নাড়তেই ফের বৃদ্ধির কুমিরছানা দেখাচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy