ঘুরে-দেখা: বাণিজ্য আর অর্থনীতি নিয়ে গুরুগম্ভীর কথা। ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক। এই সব কিছুর ফাঁকেই দিল্লির খান মার্কেটে একচক্কর ঘুরে এলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। ছবি: পিটিআই।
সেই চারশো বছর আগে ব্রিটিশরা বাণিজ্যতরী নিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখেছিল। তার পরে টেমস-গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত (ব্রেক্সিট) নেওয়ার পরে আবার ভারতের সঙ্গে সেই পুরনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে ব্রিটেন। এমনকী ভারতের সঙ্গে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’তে যেতেও মরিয়া রানির দেশ। ব্রিটেনের সেই বাধ্যবাধকতা বুঝে এখন নয়াদিল্লিও লন্ডনের উপর ভারতীয় পেশাদারদের জন্য ভিসা-নিয়ম শিথিল করার চাপ তৈরি করছে। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে মার্কিন মুলুকে কড়াকড়ির আবহে যা তাৎপর্যপূর্ণ।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড মঙ্গলবার দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করে বলেন, ‘‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে থাকব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু ইউনিয়নের বাকি দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য করব না, এমন কথা বলিনি। সেই সঙ্গে পুরনো বাণিজ্যিক শরিকদের সঙ্গেও নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’’ যে কারণে ভারতের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের জন্য যৌথ ভাবে ১২ কোটি পাউন্ডের তহবিল গড়ে তুলতে রাজি হয়েছেন তাঁরা। ভারতীয় সংস্থাগুলিকে নিজস্ব মুদ্রায় ‘মশলা বন্ড’-এর মাধ্যমে সে দেশের বাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতেও আরও সাহায্য করবে ব্রিটেন।
ভারত চায়, এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, পেশাদারদের জন্য ভিসার কড়াকড়ি শিথিল করা হোক। কমানো হোক ভিসা-ফি। ৬ এপ্রিল থেকেই ব্রিটেন বছরে ১০০০ পাউন্ডের ‘ইমিগ্রেশন স্কিল চার্জ’ বসাচ্ছে। যার ফলে ভারতীয়রা সমস্যায় পড়বেন।
নভেম্বরে ভারত সফরে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-কে নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই প্রশ্নের মুখেই পড়তে হয়েছিল। এ দিন জেটলির ইঙ্গিত, এখন দর কষাকষি হবে সমানে-সমানে। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন না-ছাড়া পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘‘ব্রেক্সিটের পরে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেন অন্য স্তরের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে। ভারতও সাড়া দিতে চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy