প্রতীকী ছবি।
জিএসটি চালুর জন্য অনুষ্ঠান হয়েছিল মধ্যরাতে। সংসদের সেন্ট্রাল হলে। এ বার ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের দরজা খুলতে দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়াম ভাড়া করেছে মোদী সরকার। যা গতিবিধি, তাতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই ব্যাঙ্ক চালুকেও বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরার সম্ভাবনা।
কিন্তু সরকার এ নিয়ে যতই ঢাক পেটানোর ব্যবস্থা করুক, দানা বাঁধছে বিস্তর প্রশ্নও। অনেকেই যেমন বলছেন, জনধন প্রকল্পে সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা গর্ব করে বলে মোদী সরকার। কিন্তু তার অধিকাংশেই যে টাকা জমা পড়ে না, সে বিষয়ে তেমন কথা শোনা যায় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, শনিবার স্টেডিয়ামে এই ব্যাঙ্ক খোলাকে প্রত্যন্ত প্রান্তে পরিষেবা পৌঁছনোর পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলতে পারেন এত দিনের চেনা ডাকঘর ও ডাকপিওনদের নতুন অবতারে হাজির হওয়ার কথা। বলা হবে ঘরে বসে ডিজিটাল লেনদেন, টাকা ছাড়াই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার কথা। অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা না থাকলেও সম্ভবত সমস্যা হবে না। কিন্তু অনেকের ভয়, এতে লাভের মুখ দেখা যাবে? ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা তো এই ব্যাঙ্কের নেই। এই প্রসঙ্গেই তিনটি লাইসেন্স ফেরানোর কথা মনে করাচ্ছেন তাঁরা। যোগাযোগ মন্ত্রকও মানছে, এ জন্য অন্তত দু’বছর লাগবে।
পেমেন্টস ব্যাঙ্ক
• প্রতি গ্রাহকের কাছে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমানত জমা নেওয়া যাবে। মিলবে ডেবিট কার্ডও।
• তবে ধার দেওয়ার ক্ষমতা নেই। প্রশ্ন নেই ক্রেডিট কার্ড দেওয়ারও।
• মূল লক্ষ্য, প্রত্যন্ত প্রান্তেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। তার জন্য কম খরচ ও আধুনিক প্রযুক্তিতে জোর।
আশা-আশঙ্কা
• ১.৫৫ লক্ষ ডাকঘর শাখার মধ্যে ১.৩০ লক্ষই গ্রামে। তার দৌলতে ব্যাঙ্কিংয়ের ছবি বদলের আশা।
• যে ১১টি পেমেন্টস ব্যাঙ্ক খোলার সায় দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে তিনটি লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে। প্রশ্ন, ডাক-ব্যাঙ্কও লাভের মুখ দেখবে তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy