প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কর্মী ও অফিসারদের বেতন সংশোধন হয় ওই পরিষেবা ক্ষেত্রের নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো অনুযায়ী, একই হারে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) এবং ইউনিয়নগুলির মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে। পাঁচ বছরের জন্য। এ বার সেই দস্তুর ভাঙার প্রস্তাব দিল আইবিএ। জানাল, প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বেতনের বড় অংশ আলাদা আলাদা ভাবে ঠিক হোক। তা বাড়ানোর ভিত্তি হোক সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের লাভ ও কাজের মান। এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করেছে কর্মী-অফিসারদের ইউনিয়নগুলি।
আইবিএ-র প্রস্তাব, সাধারণ কর্মীদের ক্ষেত্রে শিল্প ভিত্তিক সার্বিক চুক্তিতেই বেতন বাড়বে ৬%। তার বেশি কার কতটা বাড়বে, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের মোট মুনাফা (অপারেটিং প্রফিট) এবং ঋণ, শেয়ার, ঋণপত্রের মতো আর্থিক সম্পদ থেকে আয় (রিটার্ন অন অ্যাসেট) অনুযায়ী।
অন্য দিকে, অফিসারদের সাতটি গ্রেডের মধ্যে নীচের দিকের তিনটির ক্ষেত্রে এখনকার মতোই ইউনিয়নের সঙ্গে সার্বিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে আইবিএ। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বেতনের ৩০% নির্ধারণ করা হবে কাজের ভিত্তিতে। উপরের বাকি চারটি গ্রেডের অফিসারদের বেতন ঠিক করবেন কর্তৃপক্ষ। কাজের মান অনুযায়ী।
যদিও সাধারণ ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘এত দিন মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদির ভিত্তিতে বেতন সংশোধনের হত। এখন মুনাফাকে মাপকাঠি করার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘প্রত্যেক ব্যাঙ্কেই ঋণের একটা অংশ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। সেই খাতে আর্থিক সংস্থান করতে গিয়ে অনেকে লোকসানে পড়ে। এই অনুৎপাদক সম্পদের জন্য তো কর্মীরা দায়ী নন!’’ অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলছেন, ‘‘অফিসারদের বেতন কর্তৃপক্ষের ইচ্ছের উপর ছাড়লে অনেকেই বঞ্চিত হতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy