সংস্থা যে বন্ধ হচ্ছে, তা এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) নির্দেশে সেই বার্তা ছিল স্পষ্ট। সম্মতি দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও। এই অবস্থায় নতুন করে দেখা দিল বার্ন স্ট্যান্ডার্ড পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা। সংস্থাটি বন্ধ করার জন্য এনসিএলটির রায়কে কার্যত পাশে সরিয়ে রেখে তাদেরই আপিল আদালত (এনসিএলএটি) বলল, বার্নকে চাঙ্গা করতে চাইলে পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা জমা দিতে পারে সংস্থাটির প্রোমোটার ভারতীয় রেল।
এনসিএলটিতে সংস্থা বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপিল আদালতে গিয়েছিল কিছু পাওনাদার সংস্থা। সেই আদালতেরই নির্দেশ, রেলের অধিকার আছে নতুন করে বার্নকে চাঙ্গা করে তোলার। চাইলে তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারে। জমা দিতে পারে পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা। কারণ শুরুতে রেল বার্ন গুটোনোর সিদ্ধান্ত নিলেও, তা বন্ধের পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্তৃপক্ষই। যাতে সায় দেয় এনসিএলটি। মেটাতে বলে পাওনাদারদের টাকা।
তার পরেই অবসরপপ্রাপ্ত কর্মী-অফিসারদের সংগঠন ও বার্নের কিছু পাওনাদার সংস্থা এর বিরুদ্ধে আপিল আদালতে মামলা করে। এদের অন্যতম ইন্ডাস্ট্রিয়াল সার্ভিসেস আবেদনে বলে, দেউলিয়া আইনে সংস্থা বন্ধ বা ক্লোজারের ব্যবস্থা নেই। তার আওতায় সংস্থাকে পুনুরুজ্জীবিত করা অথবা সেটি গুটোনো বা লিকুইডেশনের নির্দেশ দিতে পারে এনসিএলটি। উল্লেখ্য, সাধারণত কোনও সংস্থাকে তার মালিক নিজেই বন্ধ করলে তাকে বলে ক্লোজার। আর আদালতের লিকুইডেটর নিয়োগ করে তা গুটোনো হলে সেটি লিকুইডেশন। আপিল আদালতের রায়ে তাই এ বার ফের চড়তে শুরু করেছে বার্ন চাঙ্গার আশার পারদ।
এ দিকে বার্ন কর্তৃপক্ষের দাবি, এনসিএলটির নির্দেশ মতো সিংহভাগ কর্মীর পাওনা মিটিয়েছেন তাঁরা। তবে সংস্থার ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বার্ন চাঙ্গা হতে পারে, এই আশায় ৫৭ জন কর্মী এখনও স্বেচ্ছাবসর নেননি। কর্তৃপক্ষ তাঁদের চিঠি পাঠিয়ে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার কথা বললেও, তাঁরা আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন।’’
বার্ন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘ইস্ট-ওয়েস্ট ফ্রেট করিডর তৈরি হলে ওয়াগানের চাহিদা বাড়বে। রেল দেশে ওয়াগান তৈরির বৃহত্তম এই সংস্থায় তালা ঝোলালে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy