রেকর্ড পতন টাকার।
আরও এক বার টাকার দামের রেকর্ড পতন। শুক্রবার দর ২৬ পয়সা পড়ে গিয়ে ডলারের তুলনায় টাকার দাম দাঁড়ায় ৭১ টাকায়। এ দিন বাজার শুরুতেই ডলার পিছু টাকার দাম ছিল ৭০.৭৪ টাকা। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই২৬ পয়সা দাম পড়ে যায়। গত তিন দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রেকর্ড পতন হল টাকার। গত ২৯ অগস্ট টাকার দাম ৪৯ পয়সা কমে গিয়েছিল।
এই মাসে টাকার দাম ৩.৪শতাংশ কমে যায়। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ দাম পড়েছে টাকার। এশিয়ার দেশগুলির মুদ্রার তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার বাজারের পরিস্থিতি খুবই খারাপ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।তেল রফতানিকারী দেশগুলিতে মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান চাহিদাই এর কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
যে ভাবে টাকার দাম পড়তে শুরু করেছে তাতে মুদ্রাস্ফীতির একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গের দাবি ছিল, দিন কয়েকের মধ্যেই ডলারের দাম ৬৮-৬৯ টাকা হবে। তাঁর মতে, তুরস্কের আর্থিক সমস্যা ক্রমশ থিতিয়ে আসার ফল মিলবে দেশের বাজারে। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেছিলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম যদি না বৃদ্ধি পায়,তবে ডলারের দাম ৬৮-৬৯ টাকায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে সুভাষচন্দ্র গর্গের সেই আশ্বাস মেলেনি। উল্টে দেখা যাচ্ছে, মাসের শেষে ব্যাঙ্ক ও আমদানিকারীদের মধ্যে মার্কিন ডলারের চাহিদা টাকার দামের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: মাথাব্যথা ব্যাঙ্ক জালিয়াতিও
টাকার দাম মার্কিন ডলারের তুলনায় পড়ে যাওয়ায় বিদেশ ভ্রমণ এবং সেখানে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে। ডলারের দাম যত বাড়বে অপরিশোধিত তেলের দাম তত বাড়বে। তেল আমদানিকারী দেশগুলিকে সে ক্ষেত্রে আমদানির জন্য বেশি অর্থব্যয় করতে হবে। ভারত বিদেশ থেকে প্রচুর তেল আমদানি করে। ডলার ও অপরিশোধিত তেলের এই দাম বৃদ্ধির ফলে ভারতের বাজারের উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: টাকা চোখ রাঙালেও আবেদন রেটিং বৃদ্ধির
(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy