লগ্নির সম্ভাবনা রাজ্যের কয়লা খনিতে। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের কয়লা খনিতে ৬০ হাজার কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কয়লার চাহিদা মেটাতে পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় সরকার যে কয়লা খনিটি মঞ্জুর করেছে, সেখানেই ওই লগ্নির সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
বীরভূমের দেওচা পাচামিতে যে কয়লাখনি রাজ্য পেয়েছে, কয়লা মজুতের নিরিখে সেটির স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। এশিয়ায় প্রথম। অমিতবাবু জানান ওই খনিতে ২১০ কোটি ২০ লক্ষ টন কয়লা মজুত রয়েছে। বুধবার কলকাতায় সিআইআই আয়োজিত খনি নিয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অমিতবাবুর দাবি, বীরভূমের প্রকল্পটি রূপায়িত হলে এক লক্ষেরও বেশি কর্ম সংস্থান হবে।
খনিটি মূলত কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের জন্যই মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে অমিতবাবু বলেন, বাড়তি কয়লা যাতে অন্য শিল্পে ব্যবহার করা যায়, সে জন্য কেন্দ্রের অনুমতি চাইবে রাজ্য। দেওচা পাচামি খনি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেঙ্গল বীরভূম কোলফিন্ডসের চেয়ারম্যান রাণা সোম জানান, কয়লা উত্তোলনের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
২৫০ কোটি লগ্নি টাটা-হিতাচির। সড়ক তৈরি ও খনিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরির সংস্থা টাটা-হিতাচি দু’বছরে খড়্গপুর ও কর্নাটকের কারখানায় ২৫০ কোটি টাকা লগ্নি করবে। সংস্থার এমডি সন্দীপ সিংহ জানান, জামশেদপুরের কারখানায় যে ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি হত তা খড়্গপুরে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি খনিতে ব্যবহৃত যে সমস্ত বড় যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়, সেগুলিও এখানে তৈরির করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy