জয়ন্ত সিন্হা। ছবি:পার্থ চক্রবর্তী
ব্যবসা ছড়াতে তাঁরা বাছলেন ঝাড়খণ্ডকেই। মউ সই করে জানালেন, কেউই বড় শিল্পপতি নন। কিন্তু হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আর তা সফল করতেই প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছেন। তাঁদের কেউ এসেছেন কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে, কেউ বা আসানসোল। আবার কারও সাকিন কোলাঘাট। গত কাল রতন টাটা, কুমারমঙ্গলম বিড়লা থেকে শুরু করে দেশের নামজাদা শিল্পপতিরা যে ভাবে ঝাড়খণ্ডে লগ্নির ডাক দিয়েছেন, তাতে তাঁদের মনে হয়েছে, এ রাজ্যের উপর ভরসা রাখা যায়।
মউ সই করে মঞ্চে ওঠার লাইনেই পাওয়া গেল এমন কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগীকে। আসানসোলের অভিষেক গুপ্ত জানালেন, তাঁদের সেখানে একটি হাসপাতাল রয়েছে। আর একটি করতে চান ধানবাদে। তাঁর দাবি, ‘‘নতুন ব্যবসা শুরু করতে ঝাড়খণ্ডে ঝঞ্ঝাট কম। জমি নিয়েও সমস্যা হবে না।’’ তাঁদের লগ্নির অঙ্ক মাত্র ৫০ কোটি টাকা। লাইনের একটু পিছনে থাকা সুদীপ রায়ের নির্মাণ শিল্প সামগ্রী তৈরির ব্যবসা। জানালেন, মেটিয়াবুরুজে কারখানা রয়েছে। রাঁচীর কাছে নতুন একটি খুলতে চান। সুদীপবাবুরও বক্তব্য, ‘‘এখানে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে জমি পাওয়া সহজ। পরিকাঠামোও ভাল। রাঁচী শহর স্মার্ট সিটি হতে চলেছে। বেশি কাজ মিলবে।’’ ঝাড়খণ্ডে ১২৫ কোটি ঢালতে চান তাঁরা। ধুলাগড়ের অমিত সারওয়াগির পশুখাদ্য তৈরির ব্যবসা। রাঁচীর কাছে নগরীতে কারখানা খুলতে চান। প্রাথমিক ভাবে জমি বেছেছেন। ঢালতে চান ৪০ কোটি।
মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস সকলকেই স্বাগত জানালেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শুধু বড় উদ্যোগপতি নন, এই সব ছোট, মাঝারি উদ্যোগীদের জন্যও ভাল ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।’’
আজ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ২০৯টি মউ সই করেছে রাজ্য। লগ্নি-প্রস্তাব এসেছে ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘যাঁরা চুক্তি সই করলেন, তাঁদের কারখানার জন্য জমি নির্বাচন ও বন্টনের কাজ আজ থেকেই শুরু হয়েছে।’’
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা জানান জামশেদপুরে বিমানবন্দর তৈরির কথা। বলেন, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে ছোট বিমান চালানো যায় কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy