পরমাণু চুক্তি বাতিল করে ইতিমধ্যেই ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা। ভারত, চিন-সহ সব দেশকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে সেখান থেকে অশোধিত তেল আমদানি বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ায় কম দামে তেল ও গ্যাস বিক্রি করতে শুরু করল তেহরান। যে মহাদেশে রয়েছে তাদের সব থেকে বড় দুই ক্রেতা। চিন ও ভারত।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে দাবি, আগামী মাসে সৌদি আরবের তুলনায় তেলের দর বেশ নীচেই রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি। ১৪ বছরের মধ্যে এত কম দামে এশিয়ায় জ্বালানি বেচেনি তারা। মঙ্গলবার ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম ছাড় দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। যদিও কতটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে তা বিশদ জানানো হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে ইরানের কাছে অন্যতম প্রধান বিষয় তেল বিক্রি করা। আর তা নিশ্চিত করতে বাজি, তার দর। কারণ ট্রাম্পের হুমকিতে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই তেল কেনা কমাচ্ছে। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ মার্কিন হুঁশিয়ারি জোঝার কথা বললেও, তাদের বেসরকারি সংস্থাগুলি ইরানের তেল কেনার ঝুঁকি নিতে পারছে না। যদিও নিষেধাজ্ঞার ফাঁস আলগা করার কৌশল হিসেবেই যে এই পদক্ষেপ, তা স্বীকার করেনি ইরান। শুধু তেহরান সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করেছে, রফতানি সংস্থাগুলির এই ধরনের ছাড় দেওয়া নতুন ঘটনা নয়। বাজারের চলতি সেই সূত্র মেনেই সুবিধা দিচ্ছে তাদের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা।
কিন্তু ইরান পুরোপুরি তেল নির্ভর দেশ। ফলে এই পরিস্থিতিতে দরের লড়াইয়েই এশিয়ার মতো তেলের ‘লোভনীয়’ বাজার ধরতে মরিয়া তারা। বিশেষত বিশ্ব বাজারে যেখানে তেলের দাম খুব তলানিতে নয়।
অন্য দিকে ভারত, চিনের মতো দেশগুলির ক্ষোভ, বিপুল তেল কিনলেও রফতানিতে তাদের কোনও সুবিধা দেয় না ওপেক দেশগুলি। তাই পাল্টা চাপ দিতে সম্প্রতি ক্রেতাদের সংগঠন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ক্ষোভও কাজে লাগাতে চাইছে ইরান। এক দিকে যেমন ভারতের মতো দেশে লগ্নির আগ্রহ দেখাচ্ছে, তেমনই দিতে চাইছে দামে সুবিধা।
তবে মার্কিন হুঁশিয়ারির সামনে এই কৌশল কাজে আসবে কি? বিশেষজ্ঞেরা কিন্তু মনে করছেন, দিনে প্রায় ৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি কমতে পারে ইরানের। এখন যার রফতানির পরিমাণ ২৩ লক্ষ ব্যারেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy