Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

মাল্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ নিল ব্রিটিশ আদালত

বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণ গ্রহণ করল লন্ডনের আদালত। সেইসঙ্গে সিবিআই জানিয়েছে, মাল্যের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশিকা মেনে জেলের একটি সেল তৈরি রাখা হয়েছে। এতে মাল্যের প্রত্যর্পণ নিয়ে সিবিআইয়ের চেষ্টা কিছুটা গতি পেল বলে দাবি সরকারি সূত্রের।

সিবিআই জানিয়েছে, মাল্যের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশিকা মেনে জেলের একটি সেল তৈরি রাখা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

সিবিআই জানিয়েছে, মাল্যের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশিকা মেনে জেলের একটি সেল তৈরি রাখা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ১৭:৪২
Share: Save:

বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণ গ্রহণ করল লন্ডনের আদালত। সেইসঙ্গে সিবিআই জানিয়েছে, মাল্যের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশিকা মেনে জেলের একটি সেল তৈরি রাখা হয়েছে। এতে মাল্যের প্রত্যর্পণ নিয়ে সিবিআইয়ের চেষ্টা কিছুটা গতি পেল বলে দাবি সরকারি সূত্রের।

ঋণ খেলাপের মামলায় অভিযুক্ত মাল্যের প্রত্যর্পণ নিয়ে মামলা চলছে লন্ডনের মুখ্য ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনটের আদালতে। সিবিআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করছে ব্রিটিশ সরকারের ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’। মাল্যের আইনজীবীরা সওয়ালে জানান, সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণ গ্রহণযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে ভারতের জেলের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।

ভারতের জেলের পরিস্থিতির ফলে ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটার মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জীবকুমার চাওলা-সব বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে ব্রিটেন থেকে ভারতে আনা যায়নি। ফলে এ বার আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি সিবিআই। আজ ম্যাজিস্ট্রেট আরবুথনট সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণ গ্রহণযোগ্য বলে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা জানিয়ে দেয়, মাল্যের জন্য জেলের নির্দিষ্ট সেল তৈরি রাখা হয়েছে। তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশিকা মেনে মানবাধিকার রক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা আছে। মাল্যের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। তাই তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও মজুত রাখা হয়েছে।

ঋণ খেলাপের পাশাপাশি মাল্যের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। তবে সেই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ এখনও লন্ডনের আদালতে পেশ করতে পারেনি ইডি।

১১ জুলাই ম্যাজিস্ট্রেট আরবুথনটের এজলাসে চূড়ান্ত সওয়াল করবেন মাল্যের আইনজীবীরা। তার আগে দু’পক্ষকেই সওয়ালের মূল বক্তব্যগুলি নির্দিষ্ট হরফে লিখে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট আরবুথনট।

১৯৯২ সালে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি হয়। তার পর থেকে একমাত্র গুজরাত দাঙ্গার মামলায় অভিযুক্ত সমীরভাই বিনুভাই পটেল ছাড়া আর কোনও অভিযুক্তকে সে দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসতে পারেনি দিল্লি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE