সামনেই দীপাবলি। তার আগে ধনতেরস। এই সময়ে সোনা কেনার রীতি আছে। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় অনেকেই কিনতে পারেন না। সাধ থাকলেও তা মেটানো যায় না সাধ্যের অভাবে। কিন্তু হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। সোনা কিনতে এখন আর একসঙ্গে অনেক টাকা লাগে না। চাইলে ডিজিটাল মাধ্যমে এক টাকারও সোনা কিনে রাখা যায়। বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে এই সোনা কেনার জন্য। সেই অ্যাপের লকারেই থেকে যাবে কেনা সোনা। যখন খুশি, যত টাকার সম্ভব সোনা কিনে ফেলা যায়। তা জমতে থাকে। আবার ইচ্ছে হলেই তা বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব। সরাসরি প্রিয়জনের ফোন নম্বরে উপহার হিসেবেও পাঠানো যায় ওই ডিজিটাল সোনা। সোনার দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। আন্তর্জাতিক বাজারের দরের সঙ্গে ভারতে দাম ঠিক হয়। যখন কম দর থাকে, সেই সময়ে কিনে রেখে সোনা দামি হলে তা বিক্রি করে দিলে মুনাফা পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে বিক্রিত সোনা বাবদ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। যাঁরা লাভের জন্য বিনিয়োগ করেন না, তাঁরা সোনাও নিতে পারেন। আবার বিশেষ আর্থিক প্রয়োজনে ওই সোনাকে টাকায় বদলে ফেলতে পারেন।
ভারতে ডিজিটাল সোনা বিক্রি করে তিনটি সংস্থা। এমএমটিসি পিএএমপি, অগমেন্ট গোল্ডটেক এবং ডিজিটাল গোল্ড ইন্ডিয়া। এই তিন সংস্থা পেটিএম, গুগল পে, ফোন পে, অ্যামাজন পে-র মাধ্যমে সোনা বিক্রি করে। ইদানীং কিছু জুয়েলারি সংস্থাও এই সব প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ডিজিটাল সোনা বিক্রি শুরু করেছে।
মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল সোনা মানে সেটা সব সময়েই ২৪ ক্যারাট। অর্থাৎ, ৯৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি। যে দিন যখন কেনা হবে সেই সময়ের দর অনুযায়ী পরিমাণ ঠিক হয়। সাধারণ ভাবে মনে হয় সোনায় বিনিয়োগ করতে একসঙ্গে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধাই হল সামান্য পরিমাণেও সোনা কেনা যায়। তিল তিল করে তিলোত্তমা গড়ার সুবিধা রয়েছে। এক টাকা থেকে কেনা শুরু করা যায়। তবে এক দিনে সর্বোচ্চ দু’লাখ টাকার কেনা যায়।