Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের মুখে জেট যেন শাঁখের করাত কেন্দ্রের

বহু বিমান বসে গিয়েছে। যে ক’টি রয়েছে, তা চালানোর মতো যথেষ্ট পাইলট নেই। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে পাইলট-সহ বিমান ভাড়া নিতে হবে  জেট এয়ারওয়েজকে।

এসবিআই এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জেটকে আরও ঋণ দেবে বলে জানিয়েছে। —ফাইল চিত্র।

এসবিআই এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জেটকে আরও ঋণ দেবে বলে জানিয়েছে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

বহু বিমান বসে গিয়েছে। যে ক’টি রয়েছে, তা চালানোর মতো যথেষ্ট পাইলট নেই। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে পাইলট-সহ বিমান ভাড়া নিতে হবে জেট এয়ারওয়েজকে। কিন্তু সংস্থা কর্তাদের মতে, নতুন লগ্নি না আসলে তা অসম্ভব। আর এই প্রশ্নেই প্রমাদ গুনছে কেন্দ্র। বিলক্ষণ বুঝছে, জেট কার্যত শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের সামনে।

সরকারি সূত্রের দাবি, এক দিকে জেট পুরো বসে গেলে তা ভোটের মুখে কেন্দ্রের পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন হবে না। কারণ, কর্মসংস্থানের প্রশ্নে এমনিতেই বিরোধীদের তোপের মুখে তারা। তার উপর আচমকা এত জন কাজ হারালে তারও দায় চাপতে পারে ঘাড়ে। বিশেষত পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন যেখানে ইতিমধ্যেই বকেয়া বেতন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। অন্য দিকে এই অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে জেটের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েও বিপাকে পড়েছে সরকার। প্রশ্ন উঠছে, ভোটে জেতার তাগিদে ব্যাঙ্কে জমানো সাধারণ মানুষের টাকা দিয়ে কেন বেসরকারি বিমান সংস্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা হবে?

জেটের পরিষেবা বন্ধ হয়েছে বহু রুটে। ৬০টির বেশি বিমান বসে গিয়েছে। জেটের অন্যতম অংশীদার এতিহাদ আগেই জানিয়েছে, যত দিন সংস্থার পরিচালনার রাশ নরেশ গয়ালের হাতে থাকছে, তত দিন টাকা ঢালবে না তারা। যে কারণে গয়ালকে সরানোর চাপ বাড়ছে পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের তরফেও। ফলে ঘরে-বাইরে, সর্বত্র চাপে গয়াল। বিশেষ করে সরকারের তরফেও যখন সেই রকমই ইঙ্গিত আসতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

এক জেট কর্তার দাবি, এখন জেটে পাইলট প্রায় ১,৬০০ জন। গত তিন মাসে বেতন না পেয়ে ১৫০ জনেরও বেশি অন্য সংস্থায় চাকরি নিয়েছেন। চাকরি ছাড়ার তোড়জোড় করছেন আরও অনেকে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো চিঠিতে ক্ষুব্ধ পাইলটদের দাবি, সংস্থার অন্য কর্মীরা নিয়মিত বেতন পেলেও, বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে শুধু তাঁদের ও

ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে।

এই অবস্থায় ওই কর্তার মতে, নতুন করে পাইলট নিয়োগ করে বিমান চালানো সময়সাপেক্ষ তো বটেই। তার উপর এতে বেতন জটিলতা আরও বাড়তে পারে। কারণ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন অন্যদের তুলনায় বেশি। ফলে এঁদের বেতন না দিলে সংস্থার অনেক টাকা আপাতত বাঁচে। সব কিছু বিচার করে পাইলট-সহ বিমান ভাড়া নেওয়াটাই এখন সুবিধাজনক। বিমান পরিবহণ শিল্পের পরিভাষায় যাকে বলে ‘ওয়েট লিজ।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jet Airways Finance Ministry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE