টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে বাজার খোলার পরেই পতন হল সূচকের। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাজারে শেয়ার দরের সংশোধন এখন আরও কিছু দিন চলবে। চাকা ঘুরতে শুরু করবে ডিসেম্বরের পর থেকে। এ দিন অবশ্য ডলারে টাকার দাম ১৮ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১.৪৩ টাকা।
গাঁধী জয়ন্তী, দশেরা এবং ঈদ ছাড়াও শনি-রবিবার বাজার বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার তা খোলার পরেই সেনসেক্স পড়ল ২৯৬ পয়েন্ট। থিতু হল ২৬,২৭১.৯৭ অঙ্কে। গত দু’মাসে সূচক এতটা নীচে নামেনি।
এর তাৎক্ষণিক কারণ অবশ্য জার্মানিতে শিল্পোৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকা, যার জেরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইউরোপের শেয়ার বাজারগুলিতে ধস নেমেছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের অবশ্য মত, ভারতের শেয়ার বাজারে সংশোধন শুরু হয়েছে। যা গত ক’দিন ধরেই চলছে। তবে পতন ত্বরান্বিত হয়েছে সম্প্রতি কয়লা খনি বণ্টন বাতিল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর পরে। কেন্দ্র ২১৮টি খনি বাজারের চেয়ে কম দামে বিভিন্ন সংস্থাকে বণ্টন করেছিল বলে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে। চারটি বাদে বাকি সব খনিই ফেরাতে বলা হয়েছে। এতে মূলত সমস্যায় পড়েছে কিছু বিদ্যুৎ সংস্থা। কিছু সংস্থার নির্মাণ খরচও বাড়ার আশঙ্কা। এই কারণেই খনি বণ্টন বাতিলের বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাজারে। সংবাদ সংস্থার খবর, ছুটির আগে গত ১ অক্টোবর ওই সব সংস্থা ভারতে ৬৩.২৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের অবশ্য আশা, অবস্থা ফিরবে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই। কারণ তার মধ্যেই বাজারে আসবে নতুন শস্য। বিশ্ব বাজারে তেলের দামও কমছে। এর জেরে কমবে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি, যার প্রভাব সূচকে পড়বে। বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “আমার ধারণা ডিসেম্বর থেকেই বাজার ঘুরতে শুরু করবে।”
এ দিন শুধু বড় সংস্থা নয়, পড়েছে ছোট ও মাঝারি মূলধনের সংস্থার শেয়ার দরও। পিটিআইয়ের খবর, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ১৭৬৫টি সংস্থার শেয়ার দরই পড়েছে। বেড়েছে ১১১১টি সংস্থার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy