মধ্যরাতে মুম্বইয়ের দখল গিয়েছিল ক্ষুব্ধ চাষিদের হাতে। সম্প্রতি তাঁরা ‘দখলে’ নিয়েছিলেন দিল্লিও। ভোটের মুখে তাঁদের ক্ষোভে মলম দিতে এ বার উদ্যোগী হল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
লোকসভা নির্বাচনে জেতার পথে যে চাষিদের ক্ষোভ পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে, তা টের পাচ্ছে এনডিএ সরকার। সে কারণেই খারিফ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছিল তারা। সেই মূল্য যাতে বাস্তবে চাষির ঘরে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে এ বার মাঠে নামল তারা। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, চাল-গমের পাশাপাশি অন্যান্য শস্য, বিশেষত ডাল ও তৈলবীজের ক্ষেত্রেও চাষিরা যাতে বাড়তি সহায়ক মূল্যের ফায়দা পান তার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান’ (পিএম-আশা) নামে নতুন প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, এই প্রকল্পে তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে। এক, সরাসরি চাষিদের থেকে সহায়ক মূল্যে চাল-গম ছাড়াও ডাল, তৈলবীজ, ফসল কেনা হবে। দুই, বাজারের দাম সহায়ক মূল্যেরও নীচে নামলে সেই ফারাক ভর্তুকি দিয়ে মেটাবে কেন্দ্র। চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকি পৌঁছবে। তিন, চাষিদের থেকে সহায়ক মূল্যে ফসল কেনার ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দেবে রাজ্যগুলি। এখন বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজেদের প্রয়োজন মতো দরাদরি করে ফসল কেনে।