ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে মিশেছে নিউ টাউন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি। রাজারহাটে নিউ টাউন তৈরির সময় ২০০০ সালে যে সংস্থার জন্ম হয়েছিল ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এপ্রিল থেকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অংশ হিসেবে পরিচালন ব্যবস্থা ঢেলে সাজবে তারা। ৪২ হাজার সাধারণ গ্রাহক ও প্রায় ২৫০টি সংস্থা থাকবে আওতায়। নাম হবে নিউ টাউন ডিভিশন। শুরু হবে কর্মী নিয়োগ ও নতুন পদ্ধতিতে কাজকর্মও।
নিউ টাউনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় মাটির নীচের কেব্ল দিয়ে। যার পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল সিঙ্গাপুর পাওয়ারের পরামর্শ ও সহযোগিতায়। সূত্রের দাবি, পরিষেবার স্বার্থেই তড়িঘড়ি সব কিছু বদলাচ্ছে না রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, দুই সংস্থার সংযুক্তির বিষয়টি রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে জানানো হয়েছে। তৈরি হচ্ছে নিউ টাউন ডিভিশন। এপ্রিল থেকে পুরোদমে বণ্টন সংস্থার অংশ হিসেবে কাজ করবে তারা।
এখন নিউ টাউনে বিদ্যুৎ জোগানের কাজে নিযুক্ত বণ্টন সংস্থারই অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, মার্চ পর্যন্ত নির্দিষ্ট দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা। টেকনিক্যাল, নন-টেকনিক্যাল কাজ চালাবে এজেন্সিগুলিও। আপাতত বিধাননগর ডিভিশন (১)-এর ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিউ টাউন ডিভিশনটি দেখাশোনা করবেন। তবে নতুন অর্থবর্ষ পড়লেই ঢেলে সাজানো শুরু হবে নিউ টাউন ডিভিশনের পরিকাঠামো ও পরিচালন ব্যবস্থা।
নিউ টাউন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানিতে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ৫০% ও হিডকোর ৫০% অংশীদারি ছিল। সেটি বণ্টন সংস্থার সঙ্গে মেশার পরে প্রস্তাব মতো হিডকোর প্রাপ্য অর্থ মেটানো হয়েছে। নতুন ডিভিশনটি মারফত বণ্টন সংস্থাই নিউ টাউনে বিদ্যুৎ দেবে। ডিভিশনে জোড়া হয়েছে রাজারহাটের একটি অংশকেও।