প্রতীকী ছবি।
দেশ ছেড়েছেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে প্রতারণায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। আর তার মাসুল তাঁদের গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গয়না রফতানিকারীদের। শিল্পের নালিশ, নীরব কাণ্ডের পরে ঋণ পেতে হয়রান তারা। ভারতে ব্যবসা করলেও ধার মিলছে না। ফলে পুজোর মরসুম শুরুর মুখে সমস্যা বেড়েছে। ব্যাঙ্কিং শিল্পের একাংশের অবশ্য দাবি, বহু গয়না রফতানিকারীর কাছেই প্রতারিত হয়েছে বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। যারা ইতিমধ্যেই অনুৎপাদক সম্পদে ডুবে মুখ দেখেছে লোকসানের। তাই কোনও গয়না বিক্রেতাকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হয়েছে তারা।
জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রমোদ অগ্রবালের অভিযোগ, ঋণের অভাবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে গয়না রফতানি কমেছে প্রায় ১০%। দেশে ব্যবসা করতে একই রকম সঙ্কটে পড়ার কথা বলছেন পিসি চন্দ্রের ডিরেক্টর উদয় চন্দ্র। তাঁর দাবি, ‘‘যতটা গয়না মজুত, তার মূল্যের অনেক কম টাকা ধার চেয়েও মিলছে না। ব্যাঙ্ক এমন নথি চাইছে, যেগুলি সকলের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।’’
স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দেরও দাবি, ব্যাঙ্ক ধার দেব না বলছে না। কিন্তু নানা অছিলায় তা মঞ্জুর করছে না। ফলে রফতানির বরাত হাতছাড়া হচ্ছে। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘সামনেই পুজো, ধনতেরস। এখন সোনার দর কম। পুজো মরসুমের চাহিদা মোটানোর গয়না দাম কম থাকলেই কিনে রাখি। কিন্তু তার জন্য তো ঋণ চাই।’’
স্টেট ব্যাঙ্কের ডেপুটি এমডি ও বেঙ্গল সার্কেলের কর্তা পার্থ সেনগুপ্তের অবশ্য দাবি, ‘‘এটা ঠিক যে, গয়না শিল্পে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হয়েছি। রফতানিকারীরা সমস্যায় পড়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এলওইউ-এ বসানো নিষেধাজ্ঞাতেও। তবে রেটিং ভাল হলে ঋণ পেতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’ সে কথা মেনে অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ চৌধুরীর দাবি, ‘‘যাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের ব্যবসা, তারা ঋণ দিতে কার্পন্য করছে না।’’ তবে এক গয়না রফতানিকারীর স্বীকারোক্তি, নিজের দোষেই ভুগছে এই শিল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy