প্রতীকী ছবি।
সোমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক সফল হয়নি। মঙ্গলবারের বৈঠকেও চা শ্রমিকদের দৈনিক ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল না।
তৃণমূল ছাড়া চা শ্রমিকদের ২৯টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম জানিয়ে দিল, আন্দোলন আরও জোরদার হবে। ফলে ভরা মরসুমে চা উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিন চা বাগানগুলিতে ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। ২০ অগস্ট কলকাতায় ন্যূনতম মজুরি উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে।
সোমবার উত্তরকন্যায় বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরে মঙ্গলবার থেকে দার্জিলিং বাদে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয় ফোরাম। এ দিন বিকেলে একটি বেসরকারি ভবনে বৈঠক হলেও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না। ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল আলমের বক্তব্য, ‘‘আমরা হতাশ। ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি না।’’ বাগান মালিকদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ কনসাল্টেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টেশন্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা বলেন, ‘‘সোমবার বৈঠকের পরে কলকাতায় ফিরে গিয়েছিলাম। হঠাৎ সকালে জানানো হয় ফের বৈঠক হবে। সে কারণেই যোগ দিতে পারিনি।’’
এ দিন তরাই-ডুয়ার্সের অর্ধেকের বেশি চা বাগানে কাজ হওয়ায় কিছুটা মুখরক্ষা হয়েছে শাসক শিবিরের। কিন্তু হাজিরা কম থাকায় তৈরি হয়েছে অস্বস্তিও। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা জন বার্লার কথায়, ‘‘যেখানে আমাদের সংগঠন রয়েছে, সেখানে ভাল সাড়া মিলেছে।’’ তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ধর্মঘটে কার্যত কোনও সাড়া মেলেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy