অনুৎপাদক সম্পদের জেরে ঋণ দিতে সমস্যায় পড়ছে ব্যাঙ্কগুলি।
শিল্প মহলের একাংশ ধার নিয়েও শোধ না দেওয়ায় বিপুল অনুৎপাদক সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে। পরিকাঠামো ও আবাসনে ঋণ দিয়েও সঙ্কটে ব্যাঙ্ক নয় এমন কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি)। কিন্তু তার দায় আখেরে প্রান্তিক মানুষদেরও বইতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার। যাঁদের অনেকেই স্বনির্ভর হওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির (মাইক্রো ফিনান্স) উপর নির্ভরশীল। ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি ঋণের জোগানে রাশ টানায় পুঁজির অভাবে সেই মানুষদের ঋণ দিতে সমস্যায় পড়ছে ওই সব সংস্থা।
দি অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউশন-ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি মঙ্গলবার জানান, সেপ্টেম্বরের পরে ব্যাঙ্কের ঋণ বণ্টন কার্যত বন্ধ। ঋণ কমাচ্ছে এনবিএফসি-ও। তাঁর কথায়, ‘‘অথচ আমাদের ঋণ শোধের হার ৯৮ শতাংশেরও বেশি।’’ সংগঠনের সেক্রেটারি কার্তিক বিশ্বাসের দাবি, ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিকে বেশি সুদে ঋণ নিতে হওয়ায় তাদের খরচও বাড়ছে।
এই অর্থবর্ষে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি এ রাজ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিলেও অক্টোবর থেকে পুঁজির অভাবে চলতি ত্রৈমাসিকে ঋণ বণ্টন ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কগুলি নগদ জোগান বাড়ালে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হওয়ার সম্ভাবনা। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পূর্বাঞ্চলে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে আগামী ১৪ তারিখ শহরে সম্মেলন করছে ওই সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy