পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁলেও, তা থেকে আশু নিষ্কৃতির কোনও রাস্তা দেখাতে পারল না নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কাল দাবি করেছিলেন, সরকার খুব দ্রুত সমাধানসূত্র বার করবে। কিন্তু সরকার আজ জানিয়ে দিল, খাপছাড়া ভাবে নয়, দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে নীতি তৈরি হচ্ছে। যার অর্থ, আরও বেশ কিছু দিন পেট্রোপণ্যের দামের মার সইতে হবে আম জনতাকে।
কর্নাটক ভোটের আগে ১৯ দিন থমকে ছিল দাম। ১২ মে ভোট মিটতেই বার দশেক বেড়েছে তা। মহার্ঘ হতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। বৃদ্ধির হার এতে ধাক্কা খাবে, আশঙ্কা শিল্পমহলের। কিন্তু কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ বলে দিয়েছেন, ‘‘বিশ্ববাজারে ওঠা-পড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দীর্ঘমেয়াদি নীতি তৈরি হচ্ছে।’’ সেই নীতির রূপরেখা কী হবে, কবে তা দিনের আলো দেখবে— কিছুই জানাননি মন্ত্রী। তেলের দামের চাপ কমাতে উৎপাদন শুল্ক কমানোর দাবি উঠেছে। তা উড়িয়ে বলেছেন, ‘‘ওই শুল্কের টাকা উন্নয়নে ব্যয় হয়। তাতে হাত না দিয়ে গঠনমূলক সমাধান সূত্র খুঁজছে সরকার।’’
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের হিসেব, বিশ্ববাজারে দাম ১৫ টাকা কমলে ও কর ১০ টাকা কমিয়ে পেট্রলের দামে লিটারে ২৫ টাকা ছাড় দিতে পারে সরকার। তা না করে ১-২ টাকা ছাড় দিয়ে বোকা বানায় সরকার। এতে রবিশঙ্করের পাল্টা, ‘‘চিদম্বরম যদি অঙ্কে এতই পারদর্শী, তা হলে তাঁর দল ক্ষমতা হারাল কেন?’’
বেঙ্গালুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সন্ধ্যায় চায়ের আসরে বিরোধী নেতাদের বলেন, ‘‘তেলের দাম নিয়ে তৃণমূল পথে নামছে। আপনারাও সব রাজ্যে প্রতিবাদ করুন।’’ এতে সকলেই সহমত হয়েছেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় জানান, শুক্রবার কলকাতায় ও শনি-রবিবার রাজ্যের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূলের সব সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy