দেশে কাজের সুযোগ বাড়ানোর জন্য তারা কতটা বদ্ধপরিকর, সেই বার্তা দিতে মরিয়া মোদী সরকার। আর তা বৃহস্পতিবার আরও স্পষ্ট হল পেনশন তহবিলের নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ-র একগুচ্ছ সিদ্ধান্তে। যেখানে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) দরজা খুলে দেওয়া হল উচ্চশিক্ষা ও বিশেষ কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য অর্থের সংস্থান করতে। যাতে খরচের বাধায় আটকে না যায় দক্ষতা বাড়িয়ে কর্মযোগ্য হওয়ার চেষ্টা। নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, পাশাপাশি কেউ ব্যবসা শুরু করতে চাইলেও তাঁর এনপিএস জমা থেকে কিছুটা তুলতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কর্মসংস্থান বাড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্র স্বনির্ভর হওয়ার পক্ষে বারবার সওয়াল করছে। তাই এই উদ্যোগ। একাংশ আবার বলছেন, নতুন ব্যবসা শুরু হলেও খুলবে কাজের দরজা।
পিএফআরডিএ কর্তৃপক্ষও এ দিন জানান, মূলত কর্মসংস্থান বাড়াতেই এই সব পদক্ষেপ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক ডিরেক্টর বলেন, ‘‘চাইলে এনপিএসের আওতাভুক্ত সরকারি কর্মীরাও এই সুবিধা নিতে পারবেন।’’
বস্তুত, গত লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী কথা দিয়েছিলেন বছরে দু’কোটি কাজ তৈরির। সেখানে দু’লক্ষ নিশ্চিত করতেই এখন হিমসিম কেন্দ্র। অথচ শিয়রে পরের ভোট। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মোদী জমানার বেকারত্বের দায় চাপিয়েছিলেন কংগ্রেসের ঘাড়ে। বলেছিলেন, ইউপিএ সরকার দক্ষতা ও কর্মযোগ্যতা বাড়াতে পারেনি বলেই চাকরি পাচ্ছেন না অনেকে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আগের সরকারের সেই ব্যর্থতা ও নিজেদের সদিচ্ছার বার্তা আরও বেশি করে পৌঁছতেই এ বার এনপিএস-কে অস্ত্র করল কেন্দ্র।
এ দিন নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে, বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের এনপিএসের টাকা শেয়ারে ঢালার সুযোগ বৃদ্ধি ও মাঝারি ঝুঁকির ‘A’ রেটিংয়ের ঋণপত্রে লগ্নির অনুমতিও। এত দিন কম ঝুঁকির উঁচু রেটিংয়ের (AA) বন্ডে লগ্নি হত। অনেকের মতে এই সিদ্ধান্তের কারণ, তুলনায় সামান্য বেশি ঝুঁকির রেটিংয়ের বন্ডে রিটার্নও কিছুটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মানুষ তো বুড়ো বয়সের কথা মাথায় রেখেই পেনশনের টাকা জমান। এতে সেই সুরক্ষায় কিছুটা হলেও টান পড়বে না তো? যদিও বন্ডে মোট লগ্নির ১০% পর্যন্তই শুধু ‘A’ রেটিংয়ের ঋণপত্রে রাখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy