বৈঠকে গয়াল। ছবি: পিটিআই।
অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যায় জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি নতুন ঋণ দিতে দশ বার ভাবছে। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ছোট ও মাঝারি শিল্প। আবার তারা ঋণ না পেলে, বেহাল হবে অর্থনীতি। এই দুশ্চিন্তায় মঙ্গলবার ফের স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ পূর্ব ও উত্তর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা পীযূষ গয়াল। ঠিক হয়েছে—
• যোগ্য ও ভাল ভাবে চলা সংস্থাকে ঋণ দিতে দু’দফা কৌশল নেওয়া হবে।
• প্রথমে ২০০-২,০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া সংস্থার চাহিদা দেখা হবে। দ্বিতীয় দফায় থাকবে ২০০ কোটির কম ঋণ নেওয়া মাঝারি সংস্থা।
• সংস্থাকে ঋণ দিতে ব্যাঙ্কের জোট নিজেদের মধ্যে চুক্তি করবে।
• সংস্থা দেউলিয়ার প্রক্রিয়াতে জোটের ৬৬% প্রতিনিধি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে, বাকিরাও তা মানবে।
গয়ালের যুক্তি, প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশনের তালিকায় থাকা ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যে দু’টি ছাড়া বাকিদের ঋণ দিতে বাধা নেই। কিন্তু পিএনবি কেলেঙ্কারিতে একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফলে বাকিরাও সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছেন। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘সৎ ভাবে কাজ করলে ভয় নেই। কেন্দ্র পাশে থাকবে।’’
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নজরদারির জন্য সম্প্রতি বাড়তি ক্ষমতা চেয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর উর্জিত পটেল। আজ এ প্রসঙ্গে গয়াল বলেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্কের আরও ক্ষমতা দরকার হলে, কেন্দ্র সেই পথ খোলা রাখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy