Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

আবার খোঁচা বিরল-বার্তায়

ভোটের মুখে মন রাখতে চটজলদি সমাধান নয়। বরং ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের ঋণ সমস্যা ঘোচাতে পাকাপোক্ত রাস্তাই খুঁজতে চায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

বিরল আচার্য। ফাইল চিত্র

বিরল আচার্য। ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৯
Share: Save:

ভোটের মুখে মন রাখতে চটজলদি সমাধান নয়। বরং ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের ঋণ সমস্যা ঘোচাতে পাকাপোক্ত রাস্তাই খুঁজতে চায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার জন্য ঋণ গ্রহীতাদের তথ্যপঞ্জি তৈরিতে সবার আগে জোর দিচ্ছে তারা। শনিবার আইআইটি-বম্বের এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য।

তাঁর কথায়, ক্ষুদ্র শিল্পের ঋণের সমস্যা তৃণমূল স্তর থেকে কী ভাবে সমাধান করা যায়, তা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ওই ধরনের সংস্থা ধার শোধ দিতে না পারলে, স্রেফ ৬-৯ মাস বাড়তি সময় দেওয়ার থেকে যা ঢের ভাল। এই প্রসঙ্গেই ঋণের তথ্যপঞ্জি তৈরির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। ইঙ্গিত দেন, ঋণ গ্রহীতার আয়, ধারের অঙ্ক, সংস্থার ব্যবসা ইত্যাদি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চোখ রাখলেই দেখা যাবে সেখানে। কিন্তু তাতে গ্রহীতার তথ্য সকলের সামনে হাট হয়ে যাবে না? বিরলের উত্তর, বিষয়টি বিবেচ্য।

শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের চেষ্টা নিয়ে বিরলের বিস্ফোরক বিবৃতির পরেই সামনে এসেছিল দু’পক্ষের মন কষাকষি। এ দিনও তাঁর মন্তব্যে কেন্দ্রের প্রতি সূক্ষ্ম খোঁচা খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। কারণ, ১৯ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড বৈঠকে ক্ষুদ্র-ছোট শিল্পের ধার নিয়ে সমস্যা ছিল আলোচনার অন্যতম বিষয়। নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জোড়া ধাক্কায় এই শিল্প বিপর্যস্ত। ভোটের মুখে মোদী সরকারের পক্ষে যা আদৌ সুখবর নয়।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের দাবি ছিল, প্রয়োজন মাফিক ধার না পেয়ে সঙ্কটে ছোট শিল্প। অনেকের আবার সমস্যা ধারে ডুবে থাকা। তাদের এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করুক শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিছু ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হোক ঋণ ঢেলে সাজতে। উল্টো দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অবস্থান ছিল, তা করা উচিত এমন ভাবে, যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাস্থ্য খারাপ না হয়। শেষমেশ বোর্ডের পরামর্শ ছিল, মোট ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ধার নেওয়া যে সমস্ত ছোট-মাঝারি সংস্থা সমস্যায় পড়েছে, তাদের ঋণ ঢেলে সাজার সুযোগ দেওয়া হোক। তবে তাতে যেন আর্থিক স্থিতিশীলতা ধাক্কা না খায়।

মাত্রাছাড়া অনুৎপাদক সম্পদের কারণে নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ (প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন বা পিসিএ) আরোপ করেছে, তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রের। যুক্তি, এই কড়াকড়ির কারণে ব্যাঙ্কগুলি ধার দিতে পারছে না। শিল্প ঋণ পেতে সমস্যায় পড়ছে।

এই দু’দিক থেকে দেখলে বিরলের এ দিনের মন্তব্যও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE