রিলায়্যান্স জিয়োর মোবাইল পরিষেবা বাজারে আসার পরে মাসুল যুদ্ধে নামতে বাধ্য হয়েছে পুরনো টেলি সংস্থাগুলি। এ বার চর্চা চলছে বাজারে জিয়োর ব্রডব্যান্ড ও সেট টপ বক্স পরিষেবার প্রভাব নিয়ে। সংশ্লিষ্ট মহল ইতিমধ্যেই যুদ্ধের আভাস পাচ্ছে ব্রডব্যান্ড ও কেব্ল টিভির বাজারে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ এই ব্যবসায় যুক্ত মাল্টি সিস্টেম অপারেটর (এমএসও) ও কেব্ল-অপারেটরেরা (এলসিও)। এয়ারটেল, ভোডাফোন, বিএসএনএলের মতো সংস্থার পাশাপাশি যাঁরা বহু দিন ধরেই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেন।
তাঁরা বলছেন, গ্রাহক এত দিন ধরে তাঁদের মুখ দেখে আসছেন এটাই ভরসা। মাপে ছোট হলেও, মাসুল যুদ্ধে জুঝতে অনেকে এখন জোট বাঁধতে শুরু করেছেন। উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরতে পরিকাঠামো উন্নয়নের আগাম প্রস্তুতিও নিচ্ছেন জোরকদমে।
অপটিক্যাল ফাইবারে তারযুক্ত দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড (এফটিটিএইচ) আনছে জিয়ো। মাসুল যুদ্ধ শুরু হলে শুরুতে ধাক্কার আশঙ্কা ওড়াচ্ছেন না এমএসও, এলসিওরা। তবে বলছেন, বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়বেন না। ব্রডব্যান্ড ব্যবসা ছড়াতে বিএসএনএল নিজের পরিকাঠামো ছাড়াও এলসিওদের হাত ধরছে। রাজ্যে সংস্থার শীর্ষ কর্তা এসপি ত্রিপাঠি জানান, কলকাতায় ১২ জন এলসিওর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আসানসোলের মতো রাজ্য সার্কেলেও একই চেষ্টা চলছে। কারণ স্থানীয় স্তরে এলসিওদের পরিচিতি অনেক বেশি।
স্থানীয় পরিচিতি প্রধান অস্ত্র, দাবি অ্যালায়েন্স ব্রডব্যান্ডের দেবাশিস বিশ্বাস, বেঙ্গল ব্রডব্যান্ডের মৃণাল চট্টোপাধ্যায়, মন্থনের সুদীপ ঘোষ, সিটি কেব্লের সুরেশ শেঠিয়াদেরও। দমদম অঞ্চলের এলসিও সুব্রত দাশগুপ্তর আশা, শুধু কম মাসুল নয়, সমস্যা মেটাতে দ্রুত পৌঁছনোর সুবিধাও হবে তুরুপের তাস। জিয়ো সেট টপ বক্স আনছে। সুদীপবাবুর দাবি, তাই ইন্টারনেট প্রোটোকল টিভি পরিষেবার জন্য জোট বাঁধছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy