পীযূষ গয়াল। ফাইল চিত্র।
অনুৎপাদক সম্পদের ধাক্কায় জেরবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। আর তা নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় কেন্দ্র। দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলাতে সোমবার সুনীল মেটা কমিটির পাঁচ সুপারিশ মানতে রাজি হল কেন্দ্র।
ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, এ জন্য গড়া হবে স্বাধীন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এএমসি)। অনুৎপাদক সম্পদ ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ালেই দ্রুত তা সামলাতে মাঠে নামবে তারা। প্রায় ২০০টি অ্যাকাউন্টে মোট পাওনা ৩.১ লক্ষ কোটি টাকা।
মেটা কমিটির প্রস্তাব, এ ক্ষেত্রে ছোট শিল্পের সমস্যা সমাধানের নিয়ম মেনে ৯০ দিনের মধ্যে ৫০ কোটি পর্যন্ত অনাদায়ী ঋণ সামলাবে স্টিয়ারিং কমিটি। ঋণ ৫০-৫০০ কোটি হলে মূল দায়িত্ব প্রধান ঋণদাতা (লিড) ব্যাঙ্কের। যেখানে ১৮০ দিনের মধ্যে রেজলিউশন পরিকল্পনা কার্যকর করতে ঋণদাতারাই দায়িত্ব দেবে ওই ব্যাঙ্ককে। সময়ে প্রক্রিয়া শেষ না-হলে, সম্পদ যাবে এনসিএলটিতে।
বোঝা কমাতে
• সুনীল মেটা কমিটি প্রস্তাবিত ৫ কৌশল মানতে রাজি কেন্দ্র।
• তৈরি হবে স্বাধীন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। অনুৎপাদক সম্পদ ৫০০ কোটি ছাড়ালেই তা সামলাবে তারা।
• দরকার নেই সব অনুৎপাদক সম্পদের জন্য আলাদা ব্যাঙ্ক তৈরির (ব্যাড ব্যাঙ্ক)। যে প্রস্তাব আগে ছিল।
• তৈরি হবে স্টিয়ারিং কমিটিও। ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত অনাদায়ি ঋণের সমস্যা সামলাবে তারা।
• অনাদায়ি ঋণ ৫০-৫০০ কোটি হলে, স্বাধীন ভাবে লিড ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে টাকা আদায়ের চেষ্টা করবে ঋণদাতারা। নাক গলাবে না সরকার।
• প্রস্তাব রয়েছে, উৎপাদক ও অনুৎপাদক, দু’ধরনেরই সম্পদ বিক্রির ‘প্ল্যাটফর্ম’ তৈরিরও।
যদিও মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর সতর্কবার্তা, প্রত্যেক ঋণখেলাপি উদ্যোগপতির বিরুদ্ধে একই ভাবে ব্যবস্থা নিলে সমস্যা। তিনি বলেন, ‘‘উদ্যোগপতিদের রক্ষা ও উৎসাহিত করতে না পারলে লগ্নি আসবে কী করে? ধাক্কা খাবে অর্থনীতি।’’ তাঁর আশঙ্কা, এর জেরে কেউ হয়তো আর ব্যবসা করার ঝুঁকিই নেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy