হালে ডলারের সাপেক্ষে এশিয়ায় সব থেকে দ্রুত দর পড়েছে ভারতীয় মুদ্রারই।
দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে সোমবার ফের নতুন তলানি ছুঁল টাকার দাম। ২১ পয়সা উঠে ডলার দাঁড়াল ৭১.২১ টাকা। আর তার পরেই বিভিন্ন মহলে আরও কিছুটা জোরালো হল প্রশ্ন— রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও চুপ কেন?
হালে ডলারের সাপেক্ষে এশিয়ায় সব থেকে দ্রুত দর পড়েছে ভারতীয় মুদ্রারই। ফলে খরচের বহর বেড়ে চলেছে আমদানিকারীদের।
এ দিন টাকার দাম পড়ার প্রধান কারণ দু’টি। আরও কিছু চিনা পণ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক বসানোর হুমকি দেওয়ায় মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধের আঁচ বাড়া। আর বিশ্ব বাজারে তেলের দামের মাথা তোলা। এ দিন উন্নত মানের ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলে ৭৮ ডলারে ঠেকেছে।
নজিরবিহীন
• সোমবার ডলার আরও ২১ পয়সা বেড়ে দিন শেষ করল ৭১.২১ টাকায়। টাকা ফের ঐতিহাসিক তলানিতে।
• শুধু এ বছরেই ডলারের সাপেক্ষে টাকা পড়েছে ১১%।
• এশিয়ায় এখন অন্যতম দুর্বল ভারতীয় মুদ্রাই।
আশঙ্কা
• তেল কেনার খরচ বাড়বে।
• আমদানি খরচ বাড়লে মাথা তুলবে পণ্যের দাম।
• বাড়তে পারে বাণিজ্য ও চলতি খাতে ঘাটতি।
• নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে রাজকোষ ঘাটতিকে।
• সুদ হ্রাসের সম্ভাবনা কমবে।
• শিল্পের ঋণের খরচ বাড়তে পারে। মার খেতে পারে লগ্নি।
• ভুগতে পারে অর্থনীতি।
• ধাক্কা খেতে পারে বৃদ্ধির হার।
এই পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট মহল কিছুটা হতচকিত। কারণ দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রের আশ্বাস ছিল, ডলারের দাম ৬৮-৭০ টাকায় থিতু হবে। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা। অথচ টাকা আরও পড়ছে। বাড়ছে তেল। যা আশঙ্কা তৈরি করেছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। কারণ আমদানি নির্ভর শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি আরও মাথা তোলার আশঙ্কা। দুশ্চিন্তা বাড়ছে ঘাটতি নিয়ে। ফলে এই পরিস্থিতিতেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় প্রশ্নের মুখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, হয়তো বর্তমান অবস্থায় টাকা আরও কিছুটা পড়লেও চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক কী, তা শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্পষ্ট করা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। অনেক সময় টাকা দ্রুত জমি খোয়ালে, বাজারকে আশ্বাস দিতে মুখ খোলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এখনও তেমনটা না হওয়ায় তাই কিছুটা অবাক তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy