প্রতীকী ছবি।
জিএসটি চালু হওয়ার পরে গত অর্থবর্ষের তুলনায় এ বছর এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজস্ব ক্ষতি কমেছে। শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের পেশ করা হিসেব অনুসারে, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পরে গত অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের রাজস্ব ক্ষতি ছিল ১৩%। চলতি অর্থবর্ষে অগস্ট পর্যন্ত তা ৭ শতাংশে নেমেছে।
এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে জিএসটি পরিষদের বৈঠক হয়। তার পরে মন্ত্রকের দাবি, মিজোরাম, সিকিম, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশ বাদে বাকি ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরির মতো রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি ৩৫ শতাংশের উপরে। তবে গড় ক্ষতির হার গত বছরের তুলনায় কমেছে বলে মন্ত্রকের দাবি।
উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ সালে রাজ্যগুলির পরোক্ষ কর বাবদ যত আয় ছিল, প্রতি বছর রাজস্ব আয় ১৪% হারে বাড়বে ধরে নিয়ে এই রাজস্ব ক্ষতির হিসেব হয়। আয় সেই তুলনায় কম হলে, জিএসটি চালুর পর পাঁচ বছর পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে সেই ক্ষতি মেটাবে কেন্দ্র।
এ দিকে, বন্যার ধাক্কা সামলাতে কেরল রাজ্য-জিএসটির উপরে বিশেষ কর বসানোর দাবি করেছিল। যা পরিষদই বসাতে পারে। তাই কী ভাবে ও কোন পণ্যে কর বসবে, তা খতিয়ে দেখতে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর নেতৃত্বে ৭ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি গড়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy