—ফাইল চিত্র।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। অথচ পেট্রল, ডিজেলের চড়া দাম নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম তলানিতে ঠেকা নিয়েও মোদী সরকারকে নিয়মিত নিশানা করছেন বিরোধীরা। অথচ সেই জোড়া সমস্যা সামাল দিতে রাতারাতি কিছু করার অস্ত্র কেন্দ্রের হাতে নেই। তেলের দাম কমাতে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই করলে ঘাটতি বাড়ার সম্ভাবনা। আর টাকার দর অনেকটাই নির্ভরশীল তার উপর লগ্নিকারীদের আস্থা দেখানোয়। এই অবস্থায় তাই ওই দুই সমস্যার কারণ হিসেবেই বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে কাঠগড়ায় খাড়া করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
বুধবার তাঁর দাবি, অর্থনীতির ভিত পোক্ত। এই সমস্যা সাময়িক এবং মূলত বাইরের সমস্যার কারণে। তাই শুধু এতে ঘুম ছোটার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। দিনের শেষে বাজার বন্ধের পরে জেটলির এই আশ্বাস শেয়ার বাজারের মনে ধরবে কি না, তা বোঝা যাবে যাবে আগামী দিনে। কিন্তু এ দিন তিনি মুখ খোলার আগে পর্যন্ত অন্তত আদৌ আশ্বস্ত দেখায়নি বাজারকে। শুধু শেষ ছয় লেনদেনেই সেনসেক্স পড়েছে ৮৭৮ পয়েন্ট।
টাকার পতন নিয়ে জেটলি বলেন, এর দায় বিশ্ব বাজারের। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। দাবি করেন, টাকা পড়লেও, অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় তার জমি পোক্ত। পরিস্থিতি সামলাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করছে। কিন্তু অনেকেই মনে করাচ্ছেন, শুধু এই বছরেই ডলারে টাকা পড়েছে প্রায় ১১%। এখনও খুব স্পষ্ট আশ্বাস দিতে শোনা যায়নি শীর্ষ ব্যাঙ্ককেও।
পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়া প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, অশোধিত তেলে বিশ্ব বাজারের বিরূপ প্রভাব ঘরে এড়ানো মুশকিল। কিন্তু সেখানেও বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের নাম মুখে নেই কেন?
টাকা এবং তেলের দর যে তাদের হাতে নেই, তা বারবার বলছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজার লক্ষণ নেই বাজারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, বাজার উঁচু। তাই পতনের ধাক্কা টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দুশ্চিন্তা যে বাড়ছে সন্দেহ নেই। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শুল্ক যুদ্ধ। ইন্ধন আছে বিশ্ব বাজারে প্রায় সব সূচকের পতনেরও। তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, ‘‘মাত্র ছ’মাসে নিফ্টি উঠেছে ১,৮৫০ পয়েন্ট। তাই সংশোধন ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy