চোখধাঁধানো: রাজারহাটের বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টার। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য হয়তো ভেবেছিল ‘কেজো-পর্যটন’ শিল্পের প্রসারে রাজারহাটের ঝাঁ-চকচকে পরিকাঠামোই যথেষ্ট। অনেকের মতে, বৃহস্পতিবার কিছুটা সেই কারণেই আগাগোড়া রাজারহাটের কনভেনশন সেন্টারকেই তুলে ধরলেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন। কিন্তু শুধু তাতে দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিদের মন পাওয়া গেল কই! বরং সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা খুঁজলেন কলকাতা-সহ বাকি রাজ্যকেও। আর তাঁদের সেই চাওয়া বুঝিয়ে দিল শিল্পের মন পড়ার ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।
কেজো-পর্যটন বা মাইস মূলত ব্যবসা কেন্দ্রিক। পুরো কথা মিটিং, ইনসেন্টিভস কনফারেন্স, এগ্জ়িবিশন। এর আওতায় বিভিন্ন সংস্থার বৈঠক, সম্মেলন, কর্মীদের উৎসাহ দিতে ঘুরিয়ে আনা বা নানান প্রদর্শনী ঘিরে হোটেল, রেস্তোরাঁ, গাড়ি-সহ পর্যটনে যুক্ত সব পক্ষই আয়ের পথ পায়।
এই সেন্টারকে ঘিরে রাজ্যও সেই পর্যটন ছড়াতে চায়। তাই কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক, ইন্ডিয়া কনভেনশন প্রমোশন ব্যুরো (আইসিপিবি) ও ইন্ডিয়ান চেম্বারের সঙ্গে যৌথ ভাবে বৃহস্পতিবার থেকে একটি সম্মেলন শুরু করেছে তারা। সেখানে আসা দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিনিধিরাই এ রাজ্যে মাইস পর্যটনের ক্রেতা খুঁজবেন।
কিন্তু এ দিন সেখানে নিউ ইয়র্কের পর্যটন বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড পি ড্র্যামবার্গারের প্রশ্ন, কলকাতা-সহ বাকি রাজ্যের বিপণনের কথা বলা হল না তো? বহু পর্যটক অন্য জায়গাতেও তো যেতে চাইবেন। বেলজিয়ামের ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজির ডিরেক্টর ম্যাথু ফান দর স্ট্র্যাটেনও বলেন, তাঁরা মাদার হাউস দেখতে চান। ঘুরতে চান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংগঠনে। আইসিপিবি-র ভাইস চেয়ারম্যান তথা এই শিল্পের কর্তা চন্দ্র মানশারামানি মতে, মাইস পর্যটনের প্রায় ৩৫% পর্যটকই কাজের ফাঁকে আশপাশে ঘুরতে যান। তাই বাকি রাজ্যের পসরাও তুলে ধরা জরুরি।
পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য ও পরে আইসিসির অতিরিক্ত ডিরেক্টর বোধিসত্ত্ব মজুমদার উত্তরবঙ্গ-সহ কিছু গন্তব্যের কথা বলেন। কিন্তু শুধু তাতে চিঁড়ে ভিজল? সে প্রশ্ন রয়েই গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy