—ফাইল চিত্র।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জেট এয়ারওয়েজের নতুন মালিকের খোঁজে নোটিস দিল স্টেট ব্যাঙ্কের শাখা এসবিআই ক্যাপিটাল মার্কেটস। ১০ এপ্রিলের মধ্যে চাওয়া হল আগ্রহপত্র (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট)। তার জন্য বেঁধে দেওয়া হল বিভিন্ন শর্তও। যাতে কারা জেটের অংশীদারি হাতে নিতে দর হাঁকার যোগ্য, তা স্পষ্ট হয়। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হল এই বিষয়টিও যে, ধুঁকতে থাকা বিমান পরিষেবা সংস্থাটির কাঁধে চেপে থাকা প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকার বিপুল দেনার দায় বইতে হবে তার নতুন মালিককেই। সেই সঙ্গে করতে হবে বিনিয়োগও।
জেটের শেয়ার হাতে নিতে আগ্রহী বলে এখনও বিবৃতি দেয়নি কোনও সংস্থাই। কিন্তু জল্পনায় উঠে আসছে অনেক নামই। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে জল মাপছে তাদের অনেকে। এর মধ্যে জেটের অন্যতম অংশীদার এতিহাদ, মার্কিন সংস্থা ডেল্টা যেমন রয়েছে, তেমনই আছে এতিহাদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী কাতার এয়ারও। সূত্রের খবর, সম্ভাবনা প্রবল প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের জেটের ককপিটে ফেরারও। প্রায় সিকি শতক সংস্থা চালানোর পরে সম্প্রতি ঋণদাতাদের শর্ত মেনে পর্ষদ ছেড়েছেন যিনি। এই মুহূর্তে জেটে তাঁর অংশীদারি ২৫%।
কখনও পাইলটরা ধর্মঘটের হুমকি দিচ্ছেন, তো কখনও বাকি পড়ছে বেতন। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে একের পর এক বিমান বসে যাওয়ার কথা। এখন তাদের মাত্র ২৬টি বিমান চলছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন মালিকের খোঁজে নোটিস দিতে প্রায় ১৪ দিন লেগে গেল কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। তা ছাড়া নোটিসে বলা হয়েছে, আগ্রহ দেখানো যাবে ৭৫% পর্যন্ত অংশীদারির জন্য। কিন্তু ঋণদাতাদের হাতে শেয়ার রয়েছে ৫১%। ফলে প্রশ্ন, বাকিটা আসবে কোথা থেকে? কে বা কারা বেচবে ওই বাড়তি ২৪%? নরেশ নাকি এতিহাদ? উত্তর অজানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy