সুপ্রিম কোর্টে পুরনো মামলা তো আছেই। এরই মধ্যে সহারা গোষ্ঠীকে ফের ধাক্কা দিল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। এ বার তাদের নজরে সুব্রত রায়ের আর এক সংস্থা সহারা ইন্ডিয়া কমার্শিয়াল কর্পোরেশন (এসআইসিসিএল)।
সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে বন্ড ইস্যু করে প্রায় দু’কোটি লগ্নিকারীর কাছ থেকে ১৪,১০৬ কোটি টাকা তুলেছে তারা। পুরো প্রক্রিয়াই হয়েছে কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে। বছরে ১৫% সুদ-সহ ওই টাকা সেবি-সহারা অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার জন্য সংস্থা এবং সুব্রত রায়-সহ তৎকালীন ডিরেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য সংস্থাটির সম্পদ বিক্রি করা যাবে। ৩১ অক্টোবর জারি করা ৫৪ পাতার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ওই ডিরেক্টরেরা নথিভুক্ত কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সহযোগী সংস্থাগুলিকেও বাজার থেকে নিষিদ্ধ করেছে সেবি।
২০১১ সালে সহারা গোষ্ঠীর অন্য দু’টি সংস্থার (সহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন এবং সহারা হাউসিং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন) বিরুদ্ধেও নিয়ম বহির্ভুত ভাবে তিন কোটি লগ্নিকারীর কাছ থেকে প্রায় ২৪,০০০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ এনেছিল সেবি। সেই মামলা এখনও শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। সহারাকে ওই টাকা সুদ-সহ সেবি-সহারা অ্যাকাউন্টে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সহারার অবশ্য বক্তব্য ছিল, ইতিমধ্যেই তারা ৯৮% লগ্নিকারীকে টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছে।
সেবি জানিয়েছে, ওই সংস্থা দু’টির বিরুদ্ধে তদন্তের সময়েই নতুন অনিয়মের অভিযোগটি পায় তারা। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও এসআইসিসিএলের বক্তব্য, ১৮ কোটি টাকা বাদে পুরোটাই নগদে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে লগ্নিকারীদের। যদিও বাজার নিয়ন্ত্রকের বক্তব্য, এই ধরনের লগ্নির টাকা ফেরত দেওয়ার কথা অফেরতযোগ্য ডিমান্ড ড্রাফ্ট অথবা পে-অর্ডারের মাধ্যমে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা ফেরতের কোনও নথি জমা দিতে পারেনি সংস্থাটি।
এসআইসিসিএলের আরও দাবি, তাদের এই পুঁজি সংগ্রহকে বাজার থেকে টাকা তোলা বলা যায় না। কারণ, সংস্থা ও গোষ্ঠীর কর্মী, পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকেই টাকা তোলা হয়েছিল। সেবি অবশ্য এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, লগ্নিকারীর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হলেই তা বাজার থেকে টাকা তোলার সমতুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy