বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস ছিল, ঋণনীতিতে বড়সড় কোনও রদবদল হবে না। প্রত্যাশা অনুযায়ী বুধবার সুদ অপরিবর্তিতই রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে সরকারি ঋণপত্রের জন্য যে টাকা বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে তুলে রাখতে হয়, তা কমানোর কথাও শুনিয়েছে তারা। যাতে বাজারে নগদের জোগান বাড়ে। জানিয়েছে, মোটামুটি কমই রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম। কিন্তু এই সমস্ত অনুকূল শর্তও আশ্বস্ত করতে পারল না শেয়ার বাজারকে। সকাল থেকে সারা দিন পড়ল দু’টি সূচক। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা-চিন শুল্ক যুদ্ধের জল ফের ঘোলা হওয়ায় এবং তার ফলে আন্তর্জাতিক স্টক এক্সচেঞ্জগুলির সূচকের পতনের রেশই পড়েছে ভারতের বাজারে।
এ দিন ২৪৯.৯০ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স থামে ৩৫,৮৮৪.৪১ অঙ্কে। ৮৪.৫৫ পয়েন্ট পড়ে ১০,৭৮৪.৯৫-এ থামে নিফ্টি। ব্যাঙ্ক তো বটেই, ধাতু, ওষুধ, গাড়ি-সহ অধিকাংশ ক্ষেত্রের সূচকই ছিল নিম্নমুখী। শুধু তা-ই নয়, উদ্বেগ বাড়িয়ে মাঝারি ও ছোট স্টকগুলির সূচক পড়েছে যথাক্রমে ১.৫% এবং ১.৮%। ৩ পয়সা বেড়ে ১ ডলারের দাম হয়েছে ৭০.৪৬ টাকা।
সম্প্রতি শুল্ক যুদ্ধের সমাধানে সম্মত হয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তাতে আশ্বস্ত হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহল। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎই ট্রাম্প বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে আলোচনা শেষ হবে। তাতে ফল না হলে কথাবার্তা আরও চলবে। এতেই প্রমাদ গোনে লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। মঙ্গলবার অন্তত ৩% পড়েছে আমেরিকার শেয়ার বাজারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy