হাজার পয়েন্ট পেরোতে লাগল মাত্র ১১ দিন। আর তার জেরেই ফের তৈরি হল নতুন নজির। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স এই প্রথম ঢুকল ৩৮ হাজারের ঘরে। যে উত্থানের মূল কারিগর ভারতীয় অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) আশা প্রকাশ আর এ দেশের বাজারে অগাধ আস্থা রেখে দেশি-বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা পুঁজি ঢালা।
এ দিন সেনসেক্স বেড়েছে ১৩৬.৮১ অঙ্ক। থেমেছে ৩৮,০২৪.৩৭ পয়েন্ট। নিফ্টি ২০.৭০ বেড়ে থিতু হয়েছে ১১,৪৭০.৭০ অঙ্কে।
সম্প্রতি আইএমএফ বলেছে, আগামী দিনে বিশ্বের বৃদ্ধিতে ইঞ্জিনের ভূমিকা নেবে ভারত। যে ভূমিকায় দীর্ঘ দিন রয়েছে চিন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই মন্তব্যেই হাঁফ ছেড়েছেন লগ্নিকারীরা। যা িকছুটা ভোঁতা করেছে দেশের আর্থিক উন্নতির পথ রুদ্ধ হওয়া নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগগুলিকেও। দেকো সিকিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে বলেন, ‘‘আগামী দিনে দেশে তেমন রাজনৈতিক ডামাডোল দেখা না দিলে অব্যাহত থাকবে সূচকের দৌড়।’’
অনেকের অবশ্য সতর্ক বার্তা, এতটা লাফ স্বাভাবিক নয়। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের দাবি, ‘‘শেয়ারের দাম অনেকটাই বাড়ছে কৃত্রিম ভাবে। উত্থানে জ্বালানি মূলত মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নি। ফলে যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় মাপের সংশোধন।’’
উত্থানে ফান্ডের লগ্নির যে বড় ভূমিকা আছে, তা মানছেন সকলেই। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সূচক যে সব কারণে বাড়ছে তাতে বড় পতন এখন দূর অস্ত্। অজিতবাবু বলেন, ‘‘অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে সংস্থাগুলির আয়ও ১৫% বেড়েছে। তাই শুধু ফান্ডের ঢালা নগদ জোগানের মই বেয়ে সূচক উঠছে, এটা মনে করার কারণ নেই।’’ তবে দুশ্চিন্তাও রয়েছে। অনেকে বলছেন, সূচক বাড়ছে মূলত হাতে গোনা কিছু সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত বাড়ায়। যার সঙ্গে তাদের আয়ের সাযুজ্য কম। তাঁদের দাবি, এটা না হলে আশঙ্কার মেঘ সরবে না।
শেয়ার বাজার থেকে মিউচুয়াল ফান্ড, বিনিয়োগের খুঁটিনাটি - জানতে প়ড়ুন আমাদের ব্যবসা বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy